শনিবার রাঙামাটিতে কর ন্যায্যতা বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রাইন্যা টুগুন ইকো-রিসোর্ট-এ কর্মশালায় এসময় সুপ্র জেলা কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক ছাড়াও কমিটির সদস্যবর্গ ও সুপ্র জেলা কমিটির সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় সঞ্চালনা করেন সুপ্র জেলা কমিটির সম্পাদক ও স্ট্র্যাটেজিক এ্যাকশন্স সোসাইটি(সাস)-এর নির্বাহী পরিচালক ললিত সি চাকমা ও সুপ্র জেলা প্রচারাভিযান সহায়ক মি. সুনেন্টু চাকমা।কর্মশালায় প্রথম অধিবেশনে কর কি এবং কেন মানুষ কর প্রদান করবে, কর প্রদান করলে দেশের ও দেশের জনগণের কি কি সুবিধা রয়েছে , কর প্রদানে বাংলাদেশের নাগরিকদের অনীহা ও অনীহার কারণগুলো আলোচনা করা হয়। নাগরিকদের অনীহার কারণ খুজতে গিয়ে জনগণের অসচেতনতা, আর্থিক ক্ষতি, কর দেওয়ার সুফল সম্পর্কে অজ্ঞতা, কর দিতে গিয়ে কর কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানির শিকার, কর প্রদানে জনগসাধারণদের সচেতনতা বাড়াতে ও উৎসাহীত করতে প্রচারের অভাব ইত্যাদির কারণগুলো উঠে আসে।দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশের কর ব্যবস্থায় কি কি অন্যায্যতা রয়েছে সেই বিষয়গুলো দলীয় আলোচনার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। এতে মূল্য সংযোজন কর(ভ্যাট) আরোপ পদ্ধতিতে সমস্যার কথা তুলে এনে আলোচকরা বলেন, ভ্যাট পদ্ধতিতে ধনী দারিদ্র সব শ্রেণীর মানুষ একই হারে ভ্যাট দিতে হয়। একজন শিল্পপতি যে হারে ভ্যাট প্রদান করে তেমনি একজন দরিদ্র দিন মজুরও সে একই হারে ভ্যাট প্রদান করতে হয় যা অন্যায্য কর ব্যবস্থার মধ্যেূ পড়ে। অথচ তাদের আয়ের মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। এরপর ন্যায্য করব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ও কর প্রদানে বাংলাদেশের নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কি কি করণীয় রয়েছে সেগুলো মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে তুলে আনা হয়। কর আদায়ে স্থানীয় সরকারের কি কি দায়িত্ব, পরিধি ও ক্ষমতা থাকতে পারে বা রয়েছে তা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.