শনিবার রাঙামাটিতে গণতান্ত্রিক বাজেট বিষয়ে প্রেক্ষিত উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন রাঙামাটি জেলার উদ্যোগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন রাঙামাটি জেলার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা।
আলোচক ছিলেন রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, উন্নয়নকর্মী তনয় দেওয়ান। গণতান্ত্রিক বাজেট নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের টাস্কফোর্স সদস্য জিয়াউল আহসান ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূরুল আলম। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী। অর্ধ দিবস ব্যাপী কর্মশালায় বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর লোকজন অংশ গ্রহন করেন।
কর্মশালায় বাজেটকে কিভাবে গণতান্ত্রিক ও জনমূখী করা যায় তা নিয়ে কর্মশালায় মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও বক্তারা জেলা বাজেটকে কার্যকর করাসহ জনসাধারনকে সম্পৃক্ত করতে সরকারের কাছে দাবী জানান। কর্মশালায় গণতান্ত্রিক বাজেট নিয়ে আগামী এক বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।
কর্মশালায় গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের টাস্কফোর্স সদস্য জিয়াউল আহসান বলেন, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের লক্ষ্য হচ্ছে কেন্দ্র ও আমলানির্ভর জাতীয় বাজেটকে অধিকতর জনমূখী করে গড়ে তোলার জন্য সাধারণ নাগরিকের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করা।
তিনি বলেন, এ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ নাগরিক, করদাতা ও পেশাজীবিদের মধ্যে জাতীয় বাজেটের কাঠামো, প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক-অর্থনীতি সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা তৈরিতে সহায়তা করা। পাশাপাশি ‘বাজেট বিকেন্দ্রীকরণ’ ধারণাটি নীতি-পরামর্শ, বিশ্লেষণ, প্রচার ও জনসম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
কর্মশালায় আলোচকরা বলেন, জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য পার্বত্য অঞ্চলে শক্তিশালী জেলা পরিষদ গঠনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতিটি পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও রাজস্ব কাঠামোর বিকেন্দ্রিকরণ নিশ্চিত করতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.