খাগড়াছড়ির গুইমারা থানার বড়পিলাক গ্রামের গৃহবধু সালমা আক্তার(২০) দীর্ঘ পাঁচ মাস মৃত্যু যন্ত্রণায় ভুগে অবশেষে শুক্রবার রাতে মারা গেলেন। যৌতুক কাল হলো গৃহবধু সালমার। গায়ে পেট্রোলের আগুনের ক্ষত আর অগ্নিদগ্ধ সালমা দীর্ঘ সময় লড়াই করেও বেঁচে থাকা হলো না হতভাগিনী সালমার। তার লাশ খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার দুপুরে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গেল বছর ২৭ ডিসেম্বর সালমাকে তার স্বামী, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী ও দেবরসহ মিলে যৌতুকের জন্য গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়। খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা শেষে অবশেষে নিজ বাড়িতে মারা গেলে সালমা। সালমার বড় ভাই বাদী হয়ে নুরুজ্জামান গুইমারা থানায় পাঁচজনকে আসামী করে মামলা রুজু করেন। পুলিশ দেবর আযানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করলেও বাকীদের এখনও পর্যন্ত গেপ্তার করতে পারেনি।
সালমার বাবা এয়াকুব আলী তার মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে ঘাতক স্বামী মিজানুর রহমানসহ সকলকে তিনি গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.