খাগড়াছড়িতে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হেফজখানার এক হুজুরের বিরুদ্ধে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আবির হোসেন (৮) নামে শিক্ষার্থীকে মৃতাবস্থায় নিয়ে আসা হয়। নিহত আবির হোসেন পানছড়ির আইয়ুব নগর এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে।
নিহত আবির হোসেনের চাচা দেলোয়ার হোসেন জানান, এক মাস আগে ভাতিজাকে খাগড়াছড়ি সদরের ভুয়াছড়ি রাজশাহী টিলা এলাকার বায়তুল আমান হেফজখানার হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় আবিরের বাবা আমাকে হাসপাতালে আসতে বললে এসে দেখি আমার ভাতিজা আর বেচে নাই। ঘাতক হুজুর আমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
আবিরের খালু নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আবিরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে ও কানেও আঘাত এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়েছে। অনেক নৃশংস ভাবে মেরে খুন করা হয়েছে।
বায়তুল আমান হেফজখানার পরিচালক ফরিদুল আলম জানান, দুই মাস হেফজ বিভাগে আমিনুল ইসলাম নামে ওই হুজুর যোগ দেন। কি কারণে ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে জানেন না। ঘটনার সময় তিনি প্রতিষ্ঠানে ছিলেন না বলেও জানান।
খাগড়াছড়ি সদর থানার উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার চক্রবর্তী জানান, মরদেহের সুরতহালের সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন। ঘাতক আমিনুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা চলছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.