গেল ৮ আগস্ট কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া, কলমপতি ও ঘাগড়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি অনুমোদন দেয় কাউখালী উপজেলা বিএনপি। এ কমিটি নিয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরী হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অযোগ্য, নিষ্ক্রিয় ও দল ত্যাগ করে আওয়ামীলীগে যোগ দেওয়া অনেককে আবারও বিএনপি’র ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দলটির অনেক নেতাকর্মী।
এসবের মাঝে গেল ৮ আগস্ট , ৭১ সদস্য বিশিষ্ট অনুমোদন পাওয়া বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটিতে ৬২ ক্রমিকে সম্মানিত সদস্য পদে থাকা অংথোয়াইচিং মারমা কালা বেতবুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের ওয়ার্ড কমিটির সদস্য বলে দাবী করেছে ইউনিয়ন যুবলীগ। যুবলীগের দাবী অংথোয়াইচিং দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপি’র কমিটিতে তার নাম দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
কাউখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থুইশিপ্রæ মারমা দাবী করেন- অংথোয়াইচিং ছোটবেলা থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। তার পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে সে বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য।
এ বিষয়ে অংথোয়াইচিং মারমা কালা জানান, বিএনপি’র ইউনিয়ন কমিটিতে তার অনুমতি না নিয়ে তালিকায় নাম তুলেছে। যার ফলে তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। একইসাথে এর তিব্র নিন্দা জানান তিনি।
বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন জানান- বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র পক্ষ থেকে উপজেলা বিএনপি’কে যে প্রস্তাবিত কমিটি দেওয়া হয়েছিলো তাতে এ ধরনের কোন নাম নাই। জেলা থেকে ব্রিফিং করে যে কমিটি অনুমোদ দেওয়া হয়েছে ঐ কমিটিতে দেখা গেছে কালা নামের ছেলেটা আছে। এ বিষয়ে আমি অবগত না। এই কমিটি যেহেতু উপজেলা বিএনপি’র স্বাক্ষরিত এবং জেলা বিএনপি’র মিডিয়া থেকে ছাড়া হয়েছে তাই দায়ভারটা আসলে জেলা বা উপজেলা বিএনপি’র উপরই বর্তায়।
এদিকে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম দাবী করেন- অংথোয়াই মারমা কালা নিজেদের কর্মী। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এমনটা বলতে বাধ্য করা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব বলছেন, একই এলাকায় একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। যদি সে দাবী করে যুবলীগের কর্মী তবে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.