টানা ৬দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যায় দু হাজারের অধিক লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। মারিশ্যা-দীঘিলা সড়কের কবাখালী স্থানে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে অতিক্রম করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেক পর্যটনের দুই শতাধিক পর্যটক আটকে পড়েছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ছয় দিনে টানা বৃষ্টিপাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে বাঘাইছড়ি পৌরসভাসহ ২২ টি স্থানে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় দুই হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়েছেন। উপজেলায় ৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫০০ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী এলাকায় সড়কের উপর দিয়ে পানি বিপদ সীমায় অতিক্রম করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাজেক পর্যটনে দুই শাধিক পর্যটক আটকে পড়েছেন। এছাড়া মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ১৬ কিলোমিটারের বলপেয়ে আদামে পাহাড় ধসের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা মাটি অপসারণ করেছে। স্রোতের পানিতে সাত বছরের এক শিশু নিখোজ রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, আকস্মিক বন্যায় ৫০০ শতাধিক লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী এলাকায় সড়কের উপর দিয়ে পানি বিপদ সীমায় অতিক্রম করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেক পর্যটনে দুই শাধিক পর্যটক আটকে পড়েছেন। আটককে পড়া পর্যটকদের জন্য রুম ভাড়া ডিসকাউন্ট দিতে রিসোর্ট ও মোটেল মালিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.