রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ডুবে গিয়ে ২ জন পর্যটকের মৃত্যূ ও ৩ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় কাপ্তাই হ্রদের জেলা প্রশাসন বাংলো এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন পুষ্পরাণী(৫০) ও চন্দ্রারাণী(৫৫)। তাদের বাড়ী জয়পুর হাট জেলার পাঁচবিবি থানায় রতনপুর গ্রামে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোরবার জয়পুর হাট জেলার পাঁচবিবি থানায় রতনপুর গ্রাম থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দিরে শিব চর্তুদর্শী মেলা যান। সেখান থেকে সোমবার দুপুরের দিকে রাঙামাটিতে পৌছান। এরপর পার্বত্য চট্টগ্রাম বোর্ড ঘাট থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া ৬৪ জনের একদল পর্যটক হ্রদে ভ্রমনে যান। সন্ধ্যার দিকে রাঙামাটি পর্যটন ঝুলন্ত সেতু দেখা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বোর্ড ঘাটে ফিরে যাচ্ছিলেন। এসময় জেলা প্রশাসন বাংলোর পাশে কাপ্তাই হ্রদে পৌছলে ইঞ্জিন নৌকাটি পানির ভেতর ডুবে থাকা একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে সাথে সাথে নৌকাটি পানিতে ডুবে গেলে নৌকায় থাকা অন্যান্যরা পানিতে লাফ দেন। এতে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে পুষ্পরাণী ও চন্দ্রারাণী নামে দুই সহোদর বোনক মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং ৩জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা । আহতদের মধ্যে মীনারানী বর্মন(৫০), সচীন্দ্র মন্ডল ও নমিতা বর্মণ নামের তিন জনের না পাওয়া গেলেও অপর আহতের নাম পাওয়া যায়নি। তাদের রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সচীন্দ্র মন্ডলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত দুজনের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহামান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান।
রাঙামাটি কতোয়ালী থাকার তদন্তকারী কর্মকর্তা নয়ন জানান, এ ঘটনায় দুজন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। নিহতের নাম প্রাথমিভাবে পাওয়া গেছে। দুই জনই মহিলা। তাদের নাম হল পুষ্পরাণী ও চন্দ্রারাণী। তবে তাদের আত্বীয়-স্বজন আসলে নামগুলো সঠিকভাবে জানা সম্ভব হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা জানান, নৌকা ডুবি ঘটনায় ৫জনকে রাঙামাটিতে জেনারেল নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আহত তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে দুজন আশংকামুক্ত রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জয়পুর হাট থেকে থেকে রোববার সীতাকুন্ডে তীর্থে এসেছিলেন। আজ বিকালে তারা কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমনে এসেছিলেন। তারা ভ্রমনের সময় ডিসি বাংলো কাছাকাছি পৌছলে নৌকাটি ডুবে গেছে। এর মধ্যে ৫০ জন নারী পুরুষ ও শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও ৫জনকে আহত অবস্থায় হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে দুজন মহিলা মারা গেছেন। তিনি আরো জানান, বেড়াতে আসা পর্যটক কাপ্তাই হদে কোথায় গাছের গোড়া আসে কি আসে জানে তা জানবেন না। তবে স্থানীয় বোট চালকদের জানার কথা, এজন্য তাদের আরো সর্তক হওয়া উচিত। তবে বোট চালকে সর্তক করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.