ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের প্রস্তুতকৃত খসড়া আইন প্রণয়নে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রস্তাবিত আইনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন রাঙামাটির ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা৷
রোববার রাঙামাটিতে এক সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (নাসিব) জেলার শাখার নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান।
রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনের সম্মেলনে কক্ষে সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (নাসিব) জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট বিপ্লব চাকমা। সংবাদ সম্মেলনে এ সময উপস্থিত ছিলেন- রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ, নাসিব রাঙামাটির সহ-সভাপতি মো. ওমর ফারুক, ব্রিটিশ আমেরিকার টোবাকো কোম্পানি এরিয়া ম্যানেজার জহিরুল ইসলামসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সন্মেলনে আরও বলা হয় খসড়া আইনে কিছু ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নিম্ন আয়ের বিক্রেতাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ খুচরা বিক্রেতারা পাড়া-মহল্লায় দৈনন্দিন জীবনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে চা-বিস্কুটের পাশাপাশি পান-সিগারেটও বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু সংশোধিত আইন অনুযায়ী তাদের লাইসেন্সধারী হতে হলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপকে আরও বেশি অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত করে তুলবে। যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে বলে দাবী করেন।
চেম্বার সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে উৎপাদনে নিরুৎসাহিত আর বিক্রয়ে রোহিত করতে হবে। উৎপাদন বাড়িয়ে বিক্রয়ে আইনি জটিলতা বাড়ালে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও চাষীরা হুমকির মুখে পড়বে। আমরা এই আইন পাসের ক্ষেত্রে সরকারকে অংশীজনদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.