রাঙামাটিতে সপ্তম শ্রেণীর এক শিার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অপরাধে ফারুক (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।
জানা যায়, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ডলুছড়ি গ্রামের সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিার্থীকে তার মায়ের আপন ফুফাতো ভাই মো. ফারুক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২০২০ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করার পর এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে গেলে তার পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। পরবর্তীতে মেয়েটি সন্তান প্রসবের তিন দিন পর নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষায়ও নবজাতকের পিতা মো. ফারুক প্রমাণিত হয়।
আসামিপক্ষে আইনজীবী সুম্মিতা চাকমা জানান, এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। আমার মক্কেল ন্যায় বিচার পাননি। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম অভি জানান, এই রায়ের মধ্যে দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। এই রায় ভবিষ্যতে এ ধরণের জঘন্যতম অপরাধ থেকে মানুষ নিবৃত করবে বলে মনে করি। অর্থদন্ড থেকে প্রাপ্ত টাকা বাদীর পরিবারকে দেওয়া হবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে না পারলে সম্পত্তি ক্রোক করে প্রাপ্ত অর্থ ভিকটিমকে দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.