বুধবার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের বরুণাছড়ি সার্বজনীন বনবিহাওে দুদিন ব্যাপী নবম তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান শেষ হয়েছে।
বিহার প্রাঙ্গনে আয়োজিত ধর্মীয় সভায় ধর্মদেশনা দেন, বৌদ্ধরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত, মহাসাধক বনভান্তে’র প্রধান শিষ্য শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির। অন্যান্য ভিুদের মধ্য ধর্মদেশনা দেন, ধুতাঙ্গটিলা বনবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ দেবধাম্মা মহাস্থবির। এসময় অন্যান্য সিনিয়র ভিক্ষুর মধ্যে দীঘিনালা বনবিহারের আবাসিক সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ শুভবর্ধন মহাস্থবির। বরুণাছড়ি সার্বজনীন বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ কুলজ্যোতি ভিক্ষুসহ অন্যান্য প্রমূখ ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন, ১ নং সুবলং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিহারী রঞ্জন চাকমা পবিত্র চাকমা ও সাংবাদিক বিহারী চাকমা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জ্ঞান রঞ্জন চাকমা ও প্রতিচার্য্য চাকমা ও পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন শিক্ষক সুজন চাকমা। । শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রূপক চাকমা। অনুষ্ঠান শুরুতে উদ্বোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। দুপুরে কল্পতরু ও কঠিন চীবরকে পুরো বিহার এলাকা প্রদণি করে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। অনুষ্ঠানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরীকৃত চীবর উপস্থিত ভিক্ষ সংঘের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে সকালে বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, সুত্রপাঠসহ নানাবিধ দান। দানোৎসবকে ঘিরে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থীর ঢল নামে। বিশ্বের সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় এবং মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণের জন্য ভাবনা (নিরবতা) করেন পুণ্যার্থীরা।
স্বধর্ম ধর্মীয় সভায় শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির বলেন, মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্ম রক্ষার্থে বিহারের যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনি ধর্ম প্রচারে বিহারে ভিক্ষুরও প্রয়োজন আছে। তেমনি বিহার পরিচালনা করার জন্য পুণ্যার্থীদেরও প্রয়োজন আছে। সবকিছু একে-অপরের পরিপূরক। সেক্ষেত্রেও পারিবারিক জীবনে পঞ্চশীলের গুরুত্ব অপরিসীম। শীলের পাশা-পাশি দান,শীল-ভাবনা(ধ্যান) করতে হবে। ভাবনার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.