খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আর ধর্ম কখনো হত্যা, নির্যাতন বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সমর্থন করে না। মারামারি-খুনাখুনি ধর্মের অংশ নয়। প্রত্যেক ধর্মেই শান্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা ধর্মকে বিশ্বাস করে না। আর কিছু শ্রেণীর লোক আছে যারা প্রতিনিয়ত ধর্মকে ব্যবহার করে মারা-মারি খুনা-খুনিতে লিপ্ত থাকে। আর নিজের ধর্মকে সম্মান করার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের ধর্মকেও সম্মান করতে হয়। আর অন্য ধর্মকে হেয় করা হলে নিজের ধর্মকেই ।
তিনি সবাইকে মারামারি, খুনা-খুনি ও রক্তপাত থেকে বের হয়ে ধর্মের পথে মৈত্রী ভাবনা জাগ্রত করেই পথ চলতে আহবান জানান।
রোববার রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা কেরণছড়ি দশবল বৌদ্ধ বিহারে ২৭তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।
বিহার প্রাঙ্গনে আয়োজিত কেরণছড়ি দশবল বৌদ্ধ বিহারের কমিটির আয়োজনে দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। পার্বত্য ভিু সংঘ বাংলাদেশের বিলাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি ভদন্ত আর্য্যলঙ্কার মহাথেরার সভাপতিত্বে ধর্ম দেশনা দেন বিশ্ব মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার খুলশী চট্টগ্রামের অধ্য ভদন্ত রতœপ্রিয় মহাথেরো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেরণছড়ি দশবল বৌদ্ধ বিহারে অধ্য বিপুলজ্যোতি মহাথেরো।
এ সময় রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত বৌদ্ধ পূর্নাথী অংশ নেন। এর আগে সকালে এ উপলে বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দানসহ নানান দানীয় বস্তু দান করা হয়। অনুষ্ঠানে শেষে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উদ্দেশ্য কঠিন চীবর দান করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর