খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি আনন্দ মোহন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষক ক্লাশ বাদ দিয়ে রমরমা ঠিকাদারীর অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিদ্যালয়ের ক্লাশ না নিয়ে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন ঠিকাদারী এবং কৃষি খামারের ব্যবসায়।
শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে না গিয়ে জেলা শহরের মাস্টার পাড়ামুখ এলাকায় পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষকের সাথে এক যুবকের বাদানুবাদের ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে শিক্ষকের সকল কার্যক্রমের পান্ডুলিপি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে শহরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যালয়ের সামনে বাপ্পী নামে এক যুবকের সাথে বাদানুবাদ হয় শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেনের। বাপ্পীর পিতার সাথে সাজ্জাদ হোসেনের অংশীদারে ঠিকাদারী ব্যবসা রয়েছে। বাদানুবাদের একপর্যায়ে বাপ্পী ও সাজ্জাদ হোসেনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে উপস্থিত অন্যান্যরা তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে শান্ত করেন।
বাপ্পী নামক যুবকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, সাজ্জাদ হোসেনের সাথে তার বাবা অংশীদারে ঠিকাদারী ব্যবসা রয়েছে। গত কিছুদিন আগে একটি কাজের বিলের টাকা উত্তোলন করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। তাই টাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া তিনি তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
পানছড়ি উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তোয়াব যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,সাজ্জাদ হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষক শনিবার বেলা ১২টার সময় তাঁর মুঠোফোনে কল করে বলেছে তিনি(সাজ্জাদ) খাগড়াছড়ি সদর থেকে মোটরসাইকেল যোগে পানছড়িতে আসার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় পড়ে আহত হয়েছেন। তাই তিনি বিদ্যালয়ে আসতে পারেননি। পরবর্তীতে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জানাবেন। তবে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, মুঠোফোনে কোন ছুটি হয় না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাননি। লিখিত আকারে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.