পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিষয়ে পর্যবেক্ষনের জন্য গঠিত জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি যৌথ মিশন প্রতিনিধির দল বৃহস্পতিবার(৩০ জানুয়ারী) রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাত করেছেন।
দুপুরের দিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অফিস কে পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সাথে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক যৌথ মিশন দল সাক্ষাত করেন। যৌথ মিশনের দশ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন ডাঃ নাদিয়া রহমান, ডাঃ শাহনাহাজ বেগম,ডাঃ মোঃ কামার রেজওয়ান, ডাঃ কাজী আব্দুল হোসাইন আকরাম, ডাঃ টুটুল, ডাঃ সঞ্জয় কমুার ছান্দা, ডাঃ মুক্তাদির কবীর, ডাঃ গাজী আল মামুন সিদ্দিক, ডাঃ মৌসুমী আমীন এবং ডাঃ মোঃ শাহেন আক্তার। প্রতিনিধি দলটি রাঙামাটি সফরে রাঙামাটি জেলার স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
সাক্ষাতকালে প্রতিনিধি দলটি জেলার স্বাস্থ্য কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কি কি বাঁধা আছে এবং তা কিভাবে উত্তরণ পাওয়া যায় এ বিষয়ে জানতে পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে জানেত চান।
প্রতিনিধি দলকে চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আইন অনুয়ায়ী ১৯৯০ সালে এ জেলার পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিষদের হাতে ন্যস্ত করা হয়। এরই আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় রেখে সরকার-ইউএনডিপির প্রকল্পের স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউনিসেফ এবং ইউএনএফপিএফ-এর জেলা পরিষদের সাথে কাজ শুরু করেছে। তবে দাতা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত ম্যালেরিয়া নিমূলের একটি প্রকল্প ব্র্যাক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরাসরি বাস্তবায়ন করছে। যা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সুষ্পষ্ট লংঘন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে পার্বত্য জেলা পরিষদের নেতৃত্বে সকল স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া উচিত উল্লেখ করে চেয়ারম্যান আরও জানান, আলাদাভাবে কোন স্বাস্থ্য কার্যক্রম গ্রহণ করলে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈততার সৃষ্টি হবে এবং এলাকার জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হবে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.