বিলাইছড়ি উপজেলায় এলজিইডি কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম মারা গেছেন। গেল সোমবার তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ব্রেইন স্ট্রোক করে মারা যান।যদিও মৃত্যুর আগে তিনি জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। তার বাড়ী রাজশাহী বিভাগে বলে জানা গেছে।
বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমা জানান, রোববার উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তার অফিসের কর্মচারীদের কাছ থেকে জেনছেন তিনি দীর্ঘ কয়েকদিন আগে থেকে কাশিতে ভুগছিলেন। এছাড়া কমপ্লেক্সে আনার ২ থেকে ৩ দিন আগে থেকে তার শরীরে হালকা জ্বরও ছিল। পরে ঢাকায় নেওয়ার পর জানতে পারি, তিনি স্ট্রোক করেছেন।
তিনি আরও জানান, যেহেতু এখন দেশে করোনা আতংক বিরাজ করছে, এবং তার কাশি ও জ্বর থাকার কারণে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদেরকে সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে।
বিলাইছড়ি ওসি পারভেজ আলী জানান,উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম খুব শান্ত স্বভাবের একজন ভালো লোক ছিলেন। স্ট্রোক জনিত কারণে মৃত্যু হলেও শুনেছি মারা যাওয়ার আগে থেকে তিনি কাশি এবং জ্বরে ভুগছিলেন।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, ডরমিটরি থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বোটে তুলে দেওয়া পর্যন্ত তার সাথে ছিলেন। তিনি আরও জানান, আসলে এখানে থাকা পর্যন্ত তার তেমন সমস্যা লক্ষ্য করা যায়নি। তার সামনে থেকে তাকে ইজিসি করেয়েছি হার্ট নরমাল ছিল। ফুসফুস চেক করা হয়েছে ক্লিয়ার ছিল। শরীরের তাপমাত্রাও ১০০ থেকে ১০১ ডিগ্রির মত ছিল। তবে ব্লাড প্রেশারটা কম ছিল। শুনেছি সকাল থেকে খাওয়া দাওয়া করেননি। তার কারণে হয়তো শরীর দূর্বল ছিল এবং কথা বলতে পারছিলেন না। পরে স্যালাইন দেওয়ার কারণে ব্লাড প্রেশারটা নরমাল হয়েছিল।
তিনি জানান, আসলে আমরাতো এখানে সেভাবে ডাইকনোসিস করতে পারিনি, যে উনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাঙামাটিতে পরে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরে টেস্ট করার পর জানা যায় উনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু উনার জ্বর ও কাশি ছিল তাই সাবধানতা বশত যারা তার সংস্পর্শে এসেছে তাদের সবাইকে করোনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বাড়িতে নিরাপদে থাকতে বলেছি। যদিও বিলাইছড়িতে এখন নতুন করে আর কোন করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি। তিনি ৩ থেকে ৪ মাস ধরে বিলাইছড়ি থেকে কোথাও যাতায়াত করেননি। তিনি সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতেন। যার কারণে করোনার তেমন আশংকা করা যাচ্ছে না।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা জানান, উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম ব্রেইন ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি কোন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাননি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.