রাঙামাটির বিলাইছড়ির ধুপশীল এলাকায় ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ ভাবনা কেন্দ্র (বৌদ্ধ বিহার) আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সন্মেলনে ড. এফ দীপংকর মহাথেরো অভিযোগ করে বলেন, এলাকার লোকজন আদা,হলুদ বিক্রি করে, জুম চাষ করে অতি সাধারন জীবন যাপন করার সত্বেও অতি কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে এই ভাবনা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। এই ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র এলাকার মানুষ আসে ধর্ম প্রার্থনা ও ধ্যান সাধনা করতে আসেন। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক দল জেএসএসের সন্ত্রাসীরা এই ধর্মপ্রিয় আর্ন্তজাতিক বিদর্শন ভাবনা কেদ্রের বৌদ্ধ বিহারটি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে থাইল্যান্ড থেকে আনা অষ্টধাতুর বিশাল আকৃতি বুদ্ধমুর্তিসহ ছোট বড় বুদ্ধমুর্তি ও মন্দিরে থাকা আসবাবপত্র সর্ম্পূণ পুড়ে গিয়ে দুই কোটি টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি পাহাড়ের সাধারণ মানুষদের অত্যাচার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধসহ প্রত্যেক মানুষেরা যাতে নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিপালন করতে পারে তিনি আহ্বান আহবান।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বিলাইছড়ির ধুপশীল এলাকার ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ড. এফ দীপংকর মহাথেরো। এসময় শ্রীমৎ মহানামা ভিক্ষু, শ্রীমৎ মেখিয় ভিক্ষু, শ্রীমৎ জ্ঞাতিমিত্র ভিক্ষু, শ্রীমৎ প্রজ্ঞামিত্র ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সন্মেলনের সঞ্চালনা করেন সেবক সংঘের সদস্য কনক বড়ুয়া।
উল্লেখ্য,গেল ১৫ মে রাতে বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপশীল এলাকায় এক দল দুর্বৃত্ত ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ ভাবনা কেন্দ্র আগুনে পুড়িয়ে দিলে সর্ম্পূর্ন ভস্মিভূত হয়। এতে মন্দিরে থাকা বুদ্ধ মূর্তিসহ আন্যান্য মালামাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় জেএসএসকে দায়ী করা হলেও অস্বীকার করে আসছে। এ ঘটনায় গেল শনিবার স্থানীয় বিদ্যালাল তংচংগ্যা নামের এক ব্যক্তি অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে আসামী করে কিলাইছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.