পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী,কবি ও সুর নিকেতনের প্রতিষ্ঠা সভাপতি মনোজ বাহাদুর গুর্খা’র প্রথম কাব্য গ্রস্থ ‘নির্যাস’ এর বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে চাঙমা একাডেমী ও জাবারাং কল্যান সমিতির যৌথ উদ্যোগে চাঙমা ভাষায় লিখিত চাঙমা ভাষার অভিধান,চাঙমার ভাষার প্রবাদ প্রবচন ও ‘এসো চাঙমা লেগা শিখি’সহ তিনটি বই এর
পার্বত্য চট্টগ্রামের জীবন বাস্তবতা-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং সমতলের মনন ও চিন্তাশীলতাকে ধারণ করে, প্রকাশিত হয়েছে সৃজনশীল সাময়িকী ‘উৎসব’।
শনিবার খাগড়াছড়িতে ককবরক-বাংলা দ্বিভাষিক ছড়ার বই চিনি এমাংনি হা (আমাদের স্বপ্নের দেশ)-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের নিজস্ব মাতৃভাষার বর্ণমালার পাঠ্যপুস্তক দুষ্প্রাপ্যতা থাকলেও প্রচলিত শিক্ষার প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জসগোষ্ঠীরা বেশ আগ্রহী।
পাহাড়ের ভাষা ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ‘চাঙমা একাডেমী’। এ চাকমা একাডেমী একসময় ‘বাংলা একাডেমী’র একটি ছোট্ট সংস্করণে পরিণত হবে ।
নিভৃতচারী গবেষক ও প্রাবন্ধিক প্রভাংশু ত্রিপুরাকে বাংলা একাডেমী পদকে ভূষিত করায়, পাহাড়ের মানুষ উল্লসিত অনুভুতি প্রকাশ করেছেন। কয়েক খন্ডে প্রকাশিত তাঁর রচিত ‘ত্রিপুরা জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি’ গ্রন্থের জন্য বাংলা একাডেমী তাঁকে গবেষণা শাখায় পুরস্কার প্রদানের জন্য মনোনীত করেছে
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রথমবারের মতো ‘বাংলা একাডেমী’ পুরষ্কারে ভূষিত হওয়ায় তাঁকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ১ মার্চ খাগড়াছড়ি জেলা শহরের ‘অফিসার্স কাব অডিটোরিয়াম’-এ এই সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের পার্বত্য জনপদের ভৌগলিক ও জন-বৈচিত্র্যের কথা নানা মহলে নানাভাবেই বিধৃত। কখনো কখনো জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে ভুলভাবেও উপস্থাপিত হয়ে আসছে। এসব ভ্রান্তি আর অন্ধকারের মাঝেই লেখক প্রভাংশু ত্রিপুরা’র লেখালেখির স্পৃহা জেগে উঠে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসিত-শোষিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত ও অবহেলিত আদিবাসী জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় মানবিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য আদিবাসী জুম্ম লেখকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।