শনিবার রাঙামাটির শহীদ আবদুল আলী একাডেমিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও স্মৃতি বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। স্কুল প্রতিষ্ঠাতার সন্তান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলাপ্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ ও শহীদ এম, আবদুল আলী’র কনিষ্ট কন্যা নাজমা আকতার লিলি। স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ মুসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক হাজী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
এ সসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ¦ আবদুল বারী মাতব্বর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম আকতার, শহীদ এম, আবদুল আলী’র বড় মেয়ে ফিরোজা আকতার, স্কুল পরিচালনা কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, সাবেক প্রধান শিক্ষক সত্য নন্দি, শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমান, রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী কল্যান বহুমুখি সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী আনোয়ার মিয়া বানু, কাউন্সিলর করিম আকবরসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এতে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত শহীদ আবদুল আলী’র উপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন শিক্ষক মোঃ কামরুল হাছান রাজিব।
আলোচনা সভা শেষে মরহুম আলহাজ¦ আবদুল বারী মাতব্বর ও শহীদ এম, আবদুল আলী স্মৃতি বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়াও আলহাজ¦ আবদুল বারী মাতব্বর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম আকতারের সৌজন্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রি ও পোষাক প্রদান করা হয়।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। এতে শহরের প্রায় সহ¯্রাধিক গরীব-দুস্থ ও অসহায় লোকজন চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ গ্রহণ করেন। ভোরে আলহাজ¦ আবদুল বারী মাতব্বরের কবরে ও শহীদ এম, আবদুল আলী’র বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য যারা নিজেদের বিলিয়ে দেন, তারা অমর হয়ে থাকেন। আলহাজ¦ আবদুল বারী মাতব্বর নিজের জন্য ভাবেননি, আগামী প্রজন্মকে শিক্ষিত করার জন্য নিজের সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে শহীদ এম, আবদুল আলী স্বাধীন দেশের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। আর তাইতো শত্রুদের চরম নির্যাতন সহ্য করেও মাথা নত করেননি। দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য অকাতরে নিজেকে নিজের সম্পদকে বিলিয়ে দেয়া মানুষগুলো মৃত্যুর পরেও সকলের কাছে শ্রদ্ধা-ভালবাসায় অম্লান হয়ে আছে।
বক্তারা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখোর পাশাপাশি দেশের জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণের আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.