রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেছেন,পার্বত্য শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে পাহাড়রে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা নিজ নিজ পরিচয় খুঁজে পেয়েছে। সরকার পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে একদিকে যেমন পাহাড়র শান্তি প্িরতষ্ঠা করেছে। অন্যদকিকে পার্বত্যাঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়রে মানুষদের নিজ নিজ মাতৃ ভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থাও চালু করছে। এতে প্রতিটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদরে নিজদের জাতিগত পরিচয় ফিরে পেয়েছে।
রোববার রাঙামাটিতে মাস ব্যাপী চাকমা বর্ণমালা প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে হিলর ভালেদীর উদ্যোগে ব্রাইট গ্রীন এনার্জি ফাউন্ডেশন, চায়না টেলিকম ও কার্পাসমহলের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিল ভালেদীর প্রতিষ্ঠাতা সুপ্রিয় চাকমা শুভ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সহকারী কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম,রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারন সম্পাদক অনোয়ার আল হক , প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংগঠনের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদিকা পারমিতা চাকমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পলাশ চাকমা ও প্রশিক্ষার্ণীদের পক্ষ থেকে এলিন চাকমা।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি মাস ব্যাপী চাকমা বর্ণমালা প্রশিক্ষণের ৪৩ জন প্রশিক্ষনার্থীকে সনদপত্র বিতরণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাতৃভাষায় বই প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা। এছাড়া, তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মাতৃভাষায় বই প্রকাশরে কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি, প্রকাশিত বইগুলো পড়ানোর জন্য প্রায় ৪০ জন শিক্ষককে প্িরশক্ষণও দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে আরো শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ বই প্রকাশ করলে হবে না, এসব ভাষা বুঝা ও পড়ানোর মত র্পযাপ্ত শিক্ষক প্রয়োজন। শিক্ষক না থাকলে বই প্রকাশ করে কোনো সুফল আসবে না।
উল্লেখ্য গেল ১৪ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত হিলর ভালেদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ৪৩ জন প্রশিক্ষনার্থী নিয়ে মাস ব্যাপী ফ্রি চাকমা বর্ণমালা প্রশিক্ষণ দেয়।
হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.