রোববার রাঙামাটিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হিলর ভালেদী’র উদ্যোগে ফ্রি চাকমা বর্ণমালা প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি অনলাইন পত্রিকা অফিসে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতা চাকমা। হিলর ভালেদী’র সভাপতি সুপ্রিয় চাকমা শুভ-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা, রাঙামাটি জার্নালিস্টস নেটওর্য়াকের সভাপতি শান্তিময় চাকমা, বনরূপা ত্রিদিব নগর বাজার ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতি সভাপতি স্নেহাশীষ চাকমা।
পলাশ চাকমার অনুষ্ঠান পরিচালচানায় ও জবা চাকমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি হিলর ভালেদী স্বেচ্ছাসেবী অর্থ সম্পাদক বিনয় চাকমা এবং হিলর ভালেদীর সদস্য সুবেশ চাকমা। এসময় হিলর ভালেদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিতা চাকমা বলেন, ফ্রি চাকমা বর্ণমালা প্রশিক্ষণ একটি মহৎ কাজ। হিল ভালেদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যে মত মহৎ কাজ করছে তাতে প্রতিটি নাগরিকের এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি এই সংগঠনের ভবিষৎ উন্নয়ন ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মঙ্গল কামনা করেন।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন, চাকমা বর্ণমালা প্রশিক্ষণ ও বিস্তারের জন্য পার্বত্য অঞ্চলে অনেক বড় বড় রাজনৈতিক দল ও সুপ্রষ্ঠিত ক্লাব থাকলেও চাকমা র্বণমালা সংরক্ষণের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কিন্তু হিলর ভালেদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজেদের মাতৃভাষা ও বর্ণমালা সংরক্ষণের জন্য এই সংগঠন যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তা সত্যি প্রশংসনীয়। আমি আশা রাখি এই তরুণ সমাজ কর্মীদের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে চাকমা বর্ণমালা সংরক্ষণ যথাযথভাবে সংরক্ষণ সাধিত হবে।
উল্লেখ্য,২০১৭ সালে এই ‘হিলর ভালেদী’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই সংগঠনটি আত্ম মানবতা সেবা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.