কাউখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকার কাউখালী প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান জুয়েলের বাড়িতে একদল সন্ত্রাসি হামলা ও ভাচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাত নটার দিকে সংঘটিত এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে তিনি কাউখালী থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি রুজু করেছেন। যার নম্বর ৬৪৩, তারিখ ২০/০৩/২০১৫। এতে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, কাউখালী প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করে দ্রুত অপরাধিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন। তবে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নীলু কান্তি বড়ুয়া দ্রুত অপরাধিদের শণাক্ত করার চেষ্টা করবেন বলে সাংবাদিকদের আশ্বাস দিয়েছেন।
সাধারণ জিয়া অভিযোগ করেন, গত ১৯ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিরাগভাজন হয়েছেন স্বার্থন্বেষি মহলের। গত ২৮ ডিসেম্বর বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রের প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে তাঁর নিজের কাউখালী কলেজ এলাকায় বড়ই বাগানে দুই লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ১৫ থেকে ২০ জনের সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসি দল অপহরণ চেষ্টা চালায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় সেনাবাহিনীর হাতে আটক তিনজনের সচিত্র সংবাদ পরদিন দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশসহ দেশের বিভিন্ন জাতিয় ও স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের কারণে উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনৈক উচ্ছৃংখল যুবক বাপ্পি চন্দ্র দাশকে ৪ মাসের কারাদন্ড দেন। এটিও সচিত্র সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এতে ওই দিন রাত ৯ টার দিকে একদল উচ্ছৃংখল যুবক বিপুল পরিমান ইট ছুঁড়ে জিয়ার বসত বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে আবারও ৭থেকে ৮ জনের একটি দল তার বাড়িতে বৃষ্টির মতো আস্ত ইট ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘেরা বেড়া ও বাড়ির চালায় ৭ থেকে ৮টি বড় বড় ছিদ্র হয়ে পড়ে। অল্পের জন্য তার তিন শিশু সন্তান ও স্ত্রি প্রাণহানির হাত থেকে রক্ষা পান। মুর্হুতেই আতংক ছড়িয়ে পড়ে বাড়িতে। এসময় জিয়া কাউখালী প্রেসক্লাবে অবস্থান করছিলেন।
সাংবাদিক জিয়া জানান, পরপর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির ফলে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস যে, পেশাগত দায়িত্ব পালনে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরাই এ ঘটনার সাথে জড়িত। তবে কাউকেই ঘটনাস্থল থেকে ধরতে না পারায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি রুজু করেন জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.