স্বামী মোহাম্মদ আলমের কাছ থেকে টাকা না পাওয়ায় স্বামীর সাথে খারাপ আচরন করেছে স্ত্রী হাদিজা বেগম (২৬)। স্ত্রীর আচরনে ক্ষুব্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলম তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে স্ত্রীর গায়ে আঘাত করে। স্ত্রীর খারাপ আচরনে শাসন করতে চাইলে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী মানুষ স্বামী প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ আলমকে ধরে ব্যাপক মারধোর করেছে বলে স্বয়ং মারধোরের শিকার মোহাম্মদ আলম এ অভিযোগ করেছেন। আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাম পাশের চোখটি জন্ম থেকে নষ্ট। বাকি ডান চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার কানের পাশে মাথায় পিঠে জখম ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা হয়নি।
জানা যায়, গেল শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ আলমের কাছে তার স্ত্রী হাদিজা বেগম কিছু টাকা চাই। মোহাম্মদ আলম বাজারের দোকানে দেনা শোধ করার পর টাকা দেবে বলে স্ত্রী হাদিজাকে জানায়। কিন্তু স্ত্রী তা মানতে না পারায় স্বামীর সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলম হাতে থাকা লাঠি দিয়ে স্ত্রী হাদিজাকে আঘাত করে। এতে হাদিজা বেগম প্রথমে উপজেলা আওয়ামীলিগের সভাপতির স্ত্রীর কাছে নালিশ দিতে গেলে হাদিজাকে আওয়ামীলিগের সভাপতির কাছে বামপ্লেন বাজারে পাঠায়। সেখানে গেলে সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ আলমকে ধরে আনতে কয়েকজন লোক পাঠায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মোহাম্মদ আলম বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী সোনা ভানু বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে খুঁজে পাওয়ার পর গ্রামের চুন্নু মিয়া তার স্ত্রী রোজিনা বেগম আওয়ামীলিগের সভাপতির ছেলে টিটু মিয়া সভাপতির স্ত্রী হাফেজা বেগম বামপ্লেন বাজার পর্যন্ত মারধোর করতে করতে নিয়ে আসে। বাজারে এনে প্রায় দু ঘন্টা তাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ আলম। পরে তার বড় ভাই শাহ আলমের জিম্মায় দেন উপজেলা আওয়ামীলিগের সভাপতি নজরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলিগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, মোহাম্মদ আলম দুষ্ট প্রকৃতির লোক। প্রায় সময় তার স্ত্রীকে মারধোর করে সংসারে অশান্তি করে। গত শনিবারেও তার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধোর করেছে বিধায় গ্রামের কিছু যুবক তাকে মারধোর করে শিক্ষা দিতে চেয়েছে।
প্রতিবেশী সোনা ভানু বেগম জানান- তার বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পর মোহাম্মদ আলমকে ব্যাপক মারধোর করা হয়েছে। মারতে মারতে বাজারে আনা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার উপেন্দ্র লাল চাকমা জানান- আজ (রবিবার) সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ আলম চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বরকল মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ জানান, মোহাম্মদ আলম নামে একজন লোক থানায় এসেছেন। তাকে চিকিৎসা নেয়ার পর থানায় এসে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এসআই মোহাম্ম্দ সোহেল হোসেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.