রোববার খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে অবস্থিত ‘আর্ন্তজাতিক স্মৃতিধাম বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ভদন্ত স্মৃতিমিত্র মহাথেরো’র ৬৩-তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।
‘আর্ন্তজাতিক স্মৃতিধাম বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র প্রাঙ্গনে ধর্ম দেশনা দেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা’র উপ-সংঘরাজ তিলোকানন্দ মহাথেরো। এতে স্বাগত বক্তব্যে দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক কংজরী চৌধুরী। সমাজকর্মী উজ্জল বড়ুয়া’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা, অধ্যাপিতা তৃপ্তি রানী বড়–য়া, মাদল বড়–য়া, চম্পক বড়–য়া, বিপ্লব বড়ুয়া এবং রতন বড়–য়া। এসময় গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ বড়–য়া, মানিকছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ’র প্রচার সম্পাদক শফিকুর রহমান ফারুক, কমলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাউপ্রু মারমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী এবং সাবেক ছাত্রনেতা আবু তাহের মাসুদ। অনুষ্ঠানের শেষে চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী টিটু বড়ুয়া, অর্পিতা বড়ুয়া এবং অঞ্জু মল্লিক।
এর আগে ‘স্মৃতিধাম আর্ন্তজাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক ভদন্ত স্মৃতিমিত্র মহাথেরো সমবেত দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে পূণ্যদান আর্শীবাণী প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ভক্ত ও অনুগামীরা উৎসব আমেজে শামিল হন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে গণপ্রবজ্যা ও উপ-সম্পদা উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গৌতম বুদ্ধের অহিংস ও মৈত্রীর বাণী বিশে^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ন দর্শন হিসেবে ভূমিকা রাখছে। সকল জীবের প্রতি সম-মর্যাদা ও ভালোবাসা এবং ভক্তিবাদের মাধ্যমে পৃথিবীর দেশে দেশে শান্তিময় জীবনের দুয়ার খুলেছে। ত্যাগেই সুখ, ত্যাগেই শান্তি’র মতো অমিয় বার্তার মাধ্যমে তিনি মানুষকে নির্মোহ-অমলিন জীবনের পথ বাতলে দিয়েছেন। আড়াই হাজার বছর আগের মৈত্রী দর্শন ধারাবাহিকভাবে জ্ঞান ও ধ্যান চর্চার জন্য অপরিহার্য্য হয়ে উঠেছে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক কংজরী চৌধুরী তার বক্তব্যে বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ এখন তাঁর-ই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসাম্প্রদায়িক নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশে^ আলো ছড়াচ্ছে। সেই আলোতে এ দেশের সকল ধর্ম-বর্ণ ও মতের মানুষের জীবন বিকশিত হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.