তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা গেলে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
তিনি বলেন, সমতলের চাইতে পার্বত্য অঞ্চল ম্যালেরিয়া রোগের জন্য ঝুঁকি বেশী। তাই ম্যালেরিয়া সচেতনতা আরো বেশী বৃদ্ধি করতে হবে। সচেতনতামূলক সভা সেমিনার শহরের তুলনায় তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে করা গেলে আরো বেশী ফলপ্রসু হবে।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচীর আওতায় ম্যালেরিয়া কর্মসূচী বিষয়ক জেলা পর্যায়ে দিনব্যাপী এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক দিলরুবা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রনজিৎ কুমার পাল, ম্যালেরিয়া এলিমিনেশন এন্ড এটিডি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডিপিএম ডাঃ এমএম আখতারুজ্জামান ও জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নিহার রঞ্জন নন্দী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডাঃ এন্ড্রো বিশ্বাস।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা আরো বলেন, ম্যালেরিয়া সর্ম্পকে এলাকার মানুষ যতদিন সচেতন হবে না, ততদিন ম্যালেরিয়া রোধ করা সম্ভব হবে না। তাই শহর এলাকাসহ অন্যান্য দূর্গম এলাকায় গিয়ে ম্যালেরিয়াসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্টদের গিয়ে বোঝাতে হবে। আর মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে ম্যালেরিয়া রোধ করা সম্ভব।
সভায় বক্তারা বলেন, সমতলের চাইতে পার্বত্য অঞ্চল ম্যালেরিয়া রোগের জন্য ঝুঁকি বেশী। তবে বিগত ও চলমান বছরের ম্যালেরিয়া রোগীর মুত্যু শূণ্যের কৌটায় রয়েছে। আর চলমান ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচী সফল করতে হলে জনগণকে আরো সচেতন করে তুলতে হবে। জনগণ সচেতন হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নিমুর্ল করা সম্ভব। তাই ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগের জনসচেতনতায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.