রাঙামাটির ২৯৯নং আসনের নির্বাচিত সাংসদ উষাতন তালুকদার বলেছেন, এলাকার জনমুখী শাসন ব্যবস্থার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু এখনো চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। পার্বত্য চুক্তিতে নারীর অধিকার, আদিবাসীদের প্রথাগত অধিকারের স্বীকৃত দেয়া হলেও চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ের সাধারণ মানুষ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় নানান সমস্যা নিয়মিত লেগে আছে। তুচ্ছ ঘটনাকে পুজি করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সমস্যা সৃষ্টি করা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়ায় অপরাধীরা অপরাধ কাজ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। টাকা দিয়ে সত্যকে মিথ্যা বানানো হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিচালনার জন্য এখানে আইন ও প্রতিষ্ঠান থাকলেও কে কর্তৃপক্ষ তার কোন ঠিক নেই। কোন সৃষ্টি পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়।
শুক্রবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী নারী অধিকার শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আউটার স্টেডিয়ামের আশিকার সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পুগোবেলের আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পুগোবেলের নির্বাহী পরিচালক শান্তিপদ চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান রিতা চাকমা।
উষাতন তালুকদার তার বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আছে কিন্তু তার আইন অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান প্রতিষ্ঠান আঞ্চলিক পরিষদের আইনের কার্যকারিতা নেই। জেলা পরিষদগুলো অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। জেলা পরিষদের গম-চাল ভাগ করা ছাড়া কিছু নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার পরিষদগুলোর আইনকে অকার্যকর অবস্থায় রাখার কারণে জেলা প্রশাসক নিজেকে সরকারের প্রথম সন্তান মনে করেন। পুলিশ সুপার নিজেকে প্রধান ভাবেন। এভাবে চলছে পাহাড়ের শাসন ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের ভুমি ও ভুমি ব্যবস্থাপনার জন্য হেডম্যান, সাকের্ল চীফ আছে। যুগ যুগ ধরে তারা ভুমি ব্যবস্থাপনার কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তাদের কাজের গতি পাচ্ছে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.