রাঙামাটির সাংস্কৃতিক সংগঠন সূর নিকেতনের শিল্পীদের হাতে তুলে দিলেন নিজের জীবনী নিয়ে প্রকাশিত বই সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ।
সোমবার বিকেলে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ এই বই তুলে দেন।
তভলছড়িস্থ সুর নিকেতন কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সময় গ্রন্থের লেখক ইয়াছিন রানা সোহেল, সূর নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোজ বাহাদুর, কবি মৃত্তিকাা চাকমা, গাজী টিভির প্রতিনিধি মিল্টন বাহাদুর, গ্রন্থের আলোকচিত্রী লিটন শীল’সহ শিল্পীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সুর নিকেতন শিল্পীরা মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ বলেন, সেই আগেরকার সংস্কৃতি আর বর্তমান সংস্কৃতির মধ্যে অনেক তফাৎ দেখা যায়। আগেকার সংস্কৃতি কর্মকান্ড মানুষ মন থেকে উপভোগ করতো। এখন প্রায় সব অনুষ্ঠানে দেখা যায় সেই একই গান, একই নাচ পরিবেশন করে শিল্পীরা। এতে করে সঙ্গীত ও নৃত্যের ভক্তরা দিন দিন দেখা বা শুনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তিনি আরো বলেন, আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সঙ্গীতগুলো ভক্তদের মাঝে পরিবেশন করতে হবে। তবেই ভক্তদের উপভোগের আগ্রহ বাড়বে।
তিনি বলেন, রাঙামাটিতে অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে যারা এ ধরনের এক ঘেয়ামী অনুষ্ঠান করে থাকে। যা মোটেই কাম্য নয়। এদিক দিয়ে সূর নিকেতন তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অনেকটা ভিন্নতা এসেছে। নিত্য নতুর কথা ও সূরে সঙ্গীত ভক্তদের মাঝে পরিবেশন নতুন নতুন সঙ্গীত।
তিনি পার্বত্য অঞ্চলের সংস্কৃতিকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরতে তার পত্রিকা তুলে ধরতে ও এখানকার সংস্কৃতিকে বেগবান করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির লেখক ইয়াছিনা রানা বলেন, এই বইটিতে রয়েছে তথ্যবহুল লেখা। যে জ্ঞান দিয়ে পড়বে সে বুঝতে পারবে। একজন সংবাদকর্মী কিভাবে কষ্ট-সাধনা করলে একজন পথিকৃৎ ও চারণ সাংবাদিকের মর্যাদা পায় তা এই জীবনী গ্রন্থটি পড়লে বুঝতে পারবে। তাই বইটি পড়ে শিল্পীদের জ্ঞান অর্জনের পরামর্শ দেন তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.