রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার মারমা পল্লী বড়ডলু মৈত্রী শিশু সদনে ৬ মেয়ে শিক্ষার্থীর অজ্ঞাত রোগের ঘটনায় শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গঠিত ৫ সদস্যের মেডিকেল টিমটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, গেল ১৬ জুলাই বিকেল থেকে কাউখালী উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের মারমা পল্লী বড়ডলু মৈত্রী শিশু সদনের ৬ মেয়ে শিক্ষার্থী আস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। ৬ মেয়ে শিক্ষার্থী একজন একটু হেঁসে উঠলেই বাকিরা খিলখিলিয়ে হেঁসে উঠছে। একজনের কান্নায় অন্যরা বিলাপ করছে। এমনকি একজন মাটিতে শুয়ে হাত-পা ছুড়লে বাকিরাও অবিকল তাই করছে। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে তা বলতে পারছেন না কেউই। তবে কর্তৃপক্ষ ভূতে ধরেছে দাবী করে চিকিৎসকের পরিবর্তে স্থানীয় কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা দেয়।
জানা যায়, কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গঠিত ৫ সদস্যের মেডিকেল টিম শনিবার শিশু সদনটি পরিদর্শন করেছেন। তারা আক্রান্ত শিক্ষার্থী ছাড়াও সদনের অন্য শিক্ষার্থি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছেন। এ সময় বেশি আক্রান্ত দুজনকে শিশু সদনে পাওয়া যায়নি। তাদেরকে তিনদিন আগে কবিরাজী চিকিৎসার কথা বলে শিশু সদন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এঘটনার কদিন আগে শিশু সদনটির খন্ডকালীন শিক্ষক(প্রধান শিক্ষকের বড় ভাইয়ের ছেলে) অংচাচিং মারমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় কথিত ‘ভুতে ধরা’ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
মেডিকেল টীমের চিকিৎসক প্রদীপ কুমার নাথ সাংবাদিকদের জানান, ৬ মেয়ে শিক্ষার্থী কি হয়েছে তা মেডিকেল পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। টীমের অপর সদস্য আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ সাজ্জাদ হোসাইন জানান, ৪ শিক্ষার্থী কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল হায়াতের কাছে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে দাবী করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.