অবশেষে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ বারঘোনা-মিশন হাসপাতাল সড়কের ধসে পড়া অংশ সংস্কার করে সড়কটি যান চালচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
সড়কটি ধসে পাড়ায় স্কুল, কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী, কর্ণফুলী পেপার মিলস এর শ্রমিক কর্মচারীসহ দুরদুরান্ত থেকে মিশন হাসপাতালে আগত রোগীরা চরম দূর্ভোগের মধ্য পড়েছিল। পাশাপাশি ভাঙ্গনের কারনে চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টান মিশন হাসপাতালটি হুমকির মুখে পতিত হয়। সড়কটি সংস্কার করায় র্দীঘ প্রায় ১১ মাসের জন সাধারনের ভোগান্তির অবসান হল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৩ জনু ২০১৭ তারিখে টানাবর্ষণ ও পাহাড় ধসে কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অভ্যান্তরীন এবং কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সেসময় চন্দ্রঘোনার বারঘোনা-মিশন হাসপাতাল সড়কটির একাংশের নিচ থেকে মাটি সরে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়।সড়কটি তখন মেরামত না করায় এর অবশিষ্ট অংশও সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানচলাচল সম্পূর্ণ রুপে বন্ধ হয়ে যায়। ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারনকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মিশন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী, দোভাষী বাজার, লিচুবাগানে যাতায়াতকারী এবং কেপিএমে কর্মরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কর্মচারীরা চরম ভোগান্তীতে পড়ে। এছাড়া, সড়কটি ভেঙ্গে পড়ায় মিশন হাসপাতালের বিশাল অংশ জুড়ে কর্ণফুলী নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখাদেয়। এতে মিশন হাসপাতালটি মারাতœক হুমকির মধ্যে পড়ে। এনিয়ে তখন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অবশেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আর্থিক সহয়তায় ধসে পড়া সড়কের পাশে ধারক দেওয়াল নির্মাণসহ ধসে পড়া অংশ সংস্কার করা হয়। সংস্কারের পর চলতি সপ্তাহে যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এতে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের এ কাজটি ২০১৭-২০১৮ সালে সম্পূর্ণ হয়।
এ ব্যাপারে সড়ক সংস্কার প্রকল্পের প্রকৌশলী ট্রয়া সরকার জানান, সড়কটি ধসে পড়ায় দীর্ঘদিন ধরে যানচলাচল বন্ধ সহ জনসাধারন মারাত্নক দূর্ভোগে পড়ে। জনগনের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত কাজ সম্পুর্ণ করার তাগিদ দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সড়কটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে দীর্ঘদিনের জনদূর্ভোগের অবসান ঘটে।
তিনি আরও বলেন, সড়কটি নদী তীরবর্তী হওয়ায় এর অধিকাংশ স্থানেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এমাতবস্থায় ওই সড়কে ভারী যানচলাচল না করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টান মিশন হাসপতালের উপ-পরিচালক ডাঃ প্রবীর খিয়াং বলেণ, সড়কটি সংস্কার করায় মিশন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি দূর হওয়াসহ মিশন হাসপাতালের বিরাট অংশ নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।
চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, সড়কটি সংস্কার হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় ১১ মাসের জনদূভোর্গ লাঘব হল। তবে এসড়কের পাশে আরও কয়েক স্থানে মাটি সরে পড়ায় সড়কটি এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ওই সব স্থানেও ধারক দেওয়াল নির্মাণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেন।
উল্লেখ্য, নদী তীরবর্তী সড়কটি রাঙামাটি জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আর্থিক সহায়তায় বিভিন্ন সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সম্প্রতি সড়কের সংস্কার কাজের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট হস্তান্তর করা হয়। তাই সড়কের ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন স্থানীয়রা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর