আগর গাছে মড়ক পড়ায় কাপ্তাইয়ে চাষীরা প্রচুর লোকসানের মুখে পড়েছেন। বাগানে শতকরা ৬০ ভাগ আগর গাছ ইতোমধ্যে মারা গেছে।
জানা যায়, রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কামাইল্যাছড়ি,ব্যঙছড়ি এবং শুকনাছড়িতে প্রায় ২শ হেক্টর বন বিভাগের জমিতে বন বিভাগের সাথে অংশীদারিত্ব শর্তে আগর বনায়ন করেন প্রায় ৪ শত ২৫ জন আগর চাষী। বাগানের শতকরা ৬০ ভাগ আগর গাছ মারা যাওয়ায় চাষীরা লোকসানে সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া বাকি যে আগর গাছ রয়েছে সেগুলোও নষ্টের পথে।
কাপ্তাই আগর সমিতির সভাপতি ও কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান কাপ্তাই রেঞ্জ সহ-ব্যবস্হাপনা কমিটির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল এবং কাপ্তাই আগর সমিতির সাধারন সম্পাদক লোকমান আহমেদ জানান, গেল ২০০৭ -২০০৮ সাল থেকে বন বিভাগের সাথে অংশীদারিত্বের শর্তে এ অঞ্চলের আগর চাষীরা লাভের আশায় আগর বাগান সৃজন করেন। দু:খের বিষয় ৭ বছর পরে আগর গাছে পেরেক মারার কথা থাকলেও আজ অবদি বন বিভাগের পক্ষ হতে পেরেক মারা এবং প্রযুক্তিগত কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।
তারা আরো জানান আগর চাষীরা নিজেদের উদ্যোগে গেল ১৮ জুন চট্রগ্রাম বন গবেষনা ইনষ্টিটিউটের বন রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আগর বিশেষজ্ঞ ড: মো:জাকির হোসেনকে নিয়ে এসে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদে আগর চাষীদের প্রশিক্ষন প্রদান করার ব্যবস্হা করেন।প্রশিক্ষন শেষে ড: জাকির হোসেন আগর বাগান পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান আগর গাছে মড়ক লেগেছে এবং তিনি গাছে পেরেক মারার পরামর্শ দেন। তার সাথে কামাইল্যাছড়ি বিট অফিসার আব্দুল ওয়াবও ছিলেন।
চাষীদের অভিযোগ, কাপ্তাই রেন্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামকে চাষীদের পক্ষ হতে অবগত করা হলে তিনি পরবর্তীতে দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে নিয়ে সম্ভাব্য করনীয় যা করার আশ্বাস দিলেও এখনোও পর্যন্ত আগর বাগান রক্ষায় বন বিভাগের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। চাষীরা আগর বাগান বাঁচাতে বন বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কাপ্তাই দক্ষিন বিভাগের সহকারী বন কর্মকর্তা সামশুল মুহিত চৌধুরী জানান, এই বিষয়ে বাংলাদেশ বন গবেষনা ইনষ্টিটিউটের কতৃপক্ষের নিকট অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বন বিভাগ সবসময় চাষীদের পাশে থাকবে এবং সবধরনের সাহায্য সহোযোগীতা প্রদান করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.