খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষনে প্লাবিত নিম্নাঞ্চলের পানি কমতে শুরু করেছে।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, মেহেদীবাগ, মিলনপুর, সাতভাইয়া পাড়া মুখ, খবংপুড়িয়া, শান্তিনগর, অর্পণা চৌধুরী পাড়া, কল্যাণপুর সহ নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে করে সহ¯্রাধিক পরিবার পানি বন্দী হন। পানিবন্দী মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে খোলা হয় ১০টি আশ্রয় কেন্দ্র। খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখেন এবং তাদের ত্রান বিতরন করেন। তবে সোমবার রাতে পানি কমে যাওয়া আশ্রিত মানুষ সোমবার ভোর থেকে বাড়ী ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
খাগড়াছড়ির পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আইয়ুব আলী ও আশিয়া বেগম বলেন প্রতি বছর বন্যায় বড় ধরনের ক্ষতি হয় তাদের। কিন্তু তারা কখনো বড় ধরনের সহযোগিতা পাননি। প্রতিবারে ১০ কেজি চাল বা কিছু শুকনা খাবার ছাড়া কিছু পান না আর কয়েকদিন পরে তাদের আর দেখার কেউ থাকেন না। তাই বন্যার থেকে বাচাঁর স্থায়ী সমাধান চান তারা।
খাগড়াছড়ি ইসলামিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম মিঠু বলেন তাদের এলাকার বাসিন্দারা বন্যায় অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সামনে ঈদ-উল-ফিতর তাই ঈদ উৎসবে তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারীসহযোগিতা করেন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ শাহ আলম জানান তারা ক্ষতিগ্রস্থ একটি তালিকা তৈরি করেছেন তাদের প্রতিজনকে ভিজিএফ থেকে দশ কেজি করে চাউল দেওয়া হচ্ছে। তবে এর পর্যাপ্ত নয় বলেও জানান তিনি। এছাড়া তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম কাউছার হোসেন জানান ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে ভিজিএফ এর চাল বিতরন করা হচ্ছে। এ বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.