কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মহূর্ত্বে প্রার্থীদের প্রচারপ্রচারনা জম-জমাট হয়ে উঠেছে। এলাকার ওলিগলি, দোকানপাট , রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা বিরামহীনভাবে প্রচারনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
এদিকে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসন থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা যায়, কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জনপ্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এরা হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোঃজাকির হোসেন (ধানেরশীষ), সাবেক ছাত্রদল নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহীম হাবীব মিলু (আনারস), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মোঃ হারুনুর রশীদ (হাতপাখা)। এছাড়া, সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে সদস্য পদে ৪২ জন প্রতিদ্ধন্ধিতা করছে। নির্বাচনে ৯ টি ভোট কেন্দ্রে ৯৫৪০ জন মহিলা ও পুরুষ ভোটার ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
এদিকে নির্বাচনে একেক প্রার্থী নতুন নতুন কৌশল চালিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন। প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন নৌকার সমর্থিত প্রার্থী। অর্থাৎ নৌকার পালে হাওয়া বইছে। এখনও পর্যন্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী, প্রশাসনসহ সকলমহল নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেনের সাথে নির্বাচন বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার সমর্থিত লোকজনকে মাঠে ঠিকভাবে প্রচারণা করতে দেয়া হচ্ছে না। তারা পোষ্টার ব্যানার লাগাতে পারছেন না।
আ’লীগর দলীয় প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী বলেন, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে আ’লীগ সমর্থীত লোকজন বেশী। এখানে সবসময়, আওয়ামীলীগপ্রার্থী বিজয়ী হয়ে থাকে। আওয়ামীলীগের জোয়ার দেখে ইর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্ধিপ্রার্থী মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনঅনুষ্ঠিত হলে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসন থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচণ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবি, পুুলিশ, আনসার সদস্যদের নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত রাখা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,, কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন হোসনাবাদ ইউনিয়নের সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এ ইউনিয়নে এতদিন নির্বাচন স্থগিত ছিল।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.