বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রাবারণা পূর্নিমা উপলক্ষে সোমবার রাঙামাটিতে এই প্রথম রাখাইন সম্প্রদায়ের ওয়াজেপুয়েই রি সিমি মন্দির উৎসব উদযাপিত হয়েছে।
শহরের রিজার্ভ বাজার চেঙ্গী মুখ জলযান ঘাটে অনুষ্ঠিত এ ওয়াজেপুয়েই রি সিমি মন্দির উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মালোচক ছিলেন আসামবস্তি ধর্মচক্কর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বায়াবংশ মহাথেরো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাখাইন জনকল্যাণ সমিতির রাঙামাটির সাধারণ সম্পাদক উছিংচা রাখাইন কায়েস। উৎসব কমিটির আহ্বায়ক রাহ্লামং থোয়াই রাখাইন(বাবু) সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মংপুরি রাখাইন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়ামং রাখাইন, মংপ্রু রাখাইন। অনুষ্ঠানে রাখাইন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করেন।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ওয়াজেপুয়েই রি সিমি’র ভাসমান রথ যাত্রাটি কাপ্তাই হ্রদে একটি লঞ্চে বেঁধে হ্রদ ঘেষে গড়ে উঠা বিভিন্ন মন্দির প্রদক্ষিণ করে বড়াদম বনভান্তের স্মৃতি স্তম্ভ মোড়ঘোনা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মালোচক ও পঞ্চশীল প্রার্থনা দেন আসামবস্তি ধর্মচক্কর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বায়াবংশ মহাথেরো বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ আশ্বিনী পূর্ণিমায় তার মাথার চূল আকাশে উড়িয়ে দিয়ে ছিলেন। তার সন্মান রেখে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা আকাশে ফানুস উড়ায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখাইন জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক উছিংচা রাখাইন কায়েস বলেন, রাখাইন সম্প্রদায় এ প্রথম রাঙামাটিতে জাঁকজমকভাবে এ আশ্বিনী পূর্ণিমা পালন করছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর অত্যন্ত জাকজমকভাবে এ উৎসব পালন করা হবে। তিনি এজন্য রাখাইন সম্প্রদায়সহ সকল বৌদ্ধধর্মালম্বীদের সহযোগিতার আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.