শুক্রবার খাগড়াছড়িতে দূর্যোগ প্রশমণ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ নারী’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, আশংকাজনকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বন ও প্রকৃতি ধ্বংস, পানীয় জলের সংকটের কারণে তিন পার্বত্য জেলায় প্রতি বছর নানামুখী দূর্যোগ যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা। আর এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় বংশ ও ঐতিহ্য পরম্পরায় পাহাড়ী নারীদেরকেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।জেলা শহরের খাগড়াপুরস্থ একটি বেসরকারী অডিটোরিয়ামে গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ‘কোষ্টাল ডেভলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি)’-র প্রকল্প সমন্বয়কারী খগেন ত্রিপুরা। প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস্-চেয়ারম্যান রণিক ত্রিপুরা। প্রধান অলোচক ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ-প্রতিবেশ বিশেষজ্ঞ বি. আর. খান।সভায় অতিথি আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট নারীনেত্রী ও খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা’র প্রকল্প সমন্বয়কারী সুযশ চাকমা, ধর্মীয় পুরোহিত চক্রধর ত্রিপুরা এবং প্রদীপ চৌধুরী।সিডিপি’র প্রকল্প কর্মকর্তা প্রমোদ বিকাশ ত্রিপুরা’র সঞ্চালনা এবং বেলিকা ত্রিপুরা’র উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধের ওপর প্যানেল আলোচক হিসেবে মতামত ব্যক্ত করেন এড. শুভ্রদেব ত্রিপুরা, জেলা কার্বারী এসোসিয়েশনের সাঃ সম্পাদক পূর্ণমনি ত্রিপুরা, ব্লগার-এড. সৃজনী ত্রিপুরা, উন্নয়নকর্মী কাজল বরণ ত্রিপুরা, কৃষি কর্মকর্তা কণিকা ত্রিপুরা, উন্নয়ন কর্মী ধণেশ্বর ত্রিপুরা, সমাজকর্মী জগদীশ রোয়াজা, মনচুর আলম, অনিল চাকমা ও যুগান্তর ত্রিপুরা।সভায় পার্বত্য এলাকার নারীদের জীবন-জীবিকা সুরক্ষা, পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণ, কৃষি উৎপাদনে কৃষকের অধিকারের সরকারী স্বীকৃতি এবং জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমণের জন্য ১০ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের ত্বড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানানো হয়।অংশ গ্রহনকারী বক্তারা আরও বলেন, সম্পদের ওপর তাঁদের কোন উত্তরাধিকার না থাকলেও কথিত মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার অজুহাতে নারীদেরকেই বাধ্য হয়ে খাদ্য উৎপাদন থেকে বীজ ও প্রজনন সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই পার্বত্য নারীদের জন্য এখনিই কোন সুরক্ষা উদ্যোগ না নিলে পাহাড়ীদের সমাজ ও জাতীয় জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.