রাঙামাটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালনের উপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন রাঙামাটি জেলা ও ১০ উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও কর্মরত চিকিৎসকরা।
বুধবার সকালে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে নারীদের প্রসবজনিত ফিস্টুনা রোগ বিষয়ক অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভায় এ মত দেন চিকিৎসকরা।
সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্থ প্রসবের সময় বাচ্চার মাথা যদি ৩-১২ ঘন্টারবেশী সময় যোনি পথে আটকে থাকে তাহলে এর আশেপাশে মাংসপেশী যেমন মুত্রথলি, পায়ুপথে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়। এতে মাংসপেশীতে পচন ধরে। শিশু ভুমিষ্ট হওয়ার পর সেখানে ছিদ্র হয়ে ফিস্টুনা সৃষ্টি হয়।
অল্প বয়ে বিয়ে হলে, অদক্ষ দাই দ্বারা প্রসব করানো, সঠিক ও সুষ্ঠ পরিকল্পনার অভাব, জরুরী সেবা নিশ্চিত না করার কারণে নারীদের ফিস্টুনা হয়ে থাকে। ফিস্টুনা চিকিৎসায় ভাল হলেও অজ্ঞতার কারণে অনেক নারীর জীবন বিপন্ন হয়। নারীর স্বামী ও তার পরিবারের লোকদের সচেতনতায় নারীরা এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।
পরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন বিনোদ শেখর চাকমা, উপজেলা পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা শাওন নেওয়াজ, ডা. হেলেন চাকমা, ডা.বেবী ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নুয়েন খীসাসহ ৯ উপজেলার, পরিবার কল্যান কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.