বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সরকারী জায়গা অবৈধ দখল করে একাধিক দোকানের প্লট তৈরি করে জবর দখল করার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে ইতিমধ্যে একর একর জায়গার অধিকাংশ জায়গাই বেদখল হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কমিউনিটি সেন্টার বাজারের স্থানীয় প্রভাবশালী মোসারব আলী ২টি, সায়েদ আলী ২টি ও বর্তমান ওয়ার্ড মেম্বার একরামুল ৪টি স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করে সরকারী জায়গায় দোকান প্লট নির্মান করে ভাড়া দিয়েছেন। বর্তমান দোকান ভাড়াটিয়ারা হলেন, আনিছ, অহিদ মিয়া, মোঃ জব্বার,নুরুদ্দিন, মোসারফ আলী, মোঃ মমিন, হাজি লোকমান ও অজিদ বাবু।
স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম জানান, সরকারী দলের প্রভাব দেখিয়ে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওয়ার্ড মেম্বার একরামুল সহ মোসারব আলী ও সায়েদ আলী সরকারী হাসপাতালের জায়গা জবর দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন। উক্ত জায়গায় দোকান নির্মাণ করায় হাসপাতালে সেবা প্রত্যাশী রোগীদের চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত বেদখল করে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মার্মা নিজেই বিষয়টি অবগত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের জায়গা দখল মুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন শত শত এলাকাবাসী।
অবৈধ দখলদার একরামুল মেম্বারকে এবিষয়ে একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, স্থানীয় এই প্রভাবশালীরা জোর করে হাসপাতালের এই জায়গাগুলো দখল করে দোকান নির্মান করে ফেলে।
হাসপাতালের জায়গা দখল করার বিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মার্মা জানান, দ্রুত অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সরকারী জায়গা উদ্ধারের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.