পার্বত্যাঞ্চলের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নয়নসহ তিন পার্বত্য জেলার সরকারী কলেজগুলোর স্নাতক,স্নাতোকত্তর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করতে হবে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উন্নয়ন ঘটানো না গেলে রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপন করলেও পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের কোন উপকারে আসবে না।
শনিবার রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপনে আদিবাসী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এসব অভিমত ব্যক্ত করেন।
রাঙামাটির আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র সন্মেলন কে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্যাঞ্চলের উদোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়। আদিবাসী ফোরাম পার্বত্যাঞ্চল ক-এর শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশিনের সদস্য নিরুপা দেওয়ান, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, শিাবিদ মংসানু চৌধুরী প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, বিগত সময়ে সরকারের এই ধরণের সিদ্ধান্তে আদিবাসীরা বার বার প্রতারিত হয়েছেন। সরকারের বর্তমানে এই ইস্যুতে আদিবাসীদের মাঝে ভয়-ভীতি, হাতাশার সৃষ্টি হয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে আদিবাসীরা দুধকে চুন মনে করছে। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপনে আদিবাসীদের জন্য চুনের পানি না দুধ তা সরকারকে পরিস্কার করা উচিত হবে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.