গুরিমিলে চাকমা ও পরি চাকমার আর কোন দিনই কঠিন চীবর দানোৎসবে যাওয়া হবে না। বেপরোয়ারা বাস চালক তদের জীবন প্রদীপ নিভে দিয়েছে। আহত অপর ৪ জন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। শনিবার দুপুরের দিকে রাঙামাটি শহরে ভেদভেদী এলাকার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন গুরিমিলে চাকমা(৪২) ও পরি চাকমা(৪০)। নিহত ও আহতরা সাপছড়ি শালবাগানস্থ যৌথ খামার এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহর থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা ৫ জন যাত্রীকে নিয়ে সাপছড়িস্থ শালবাগান যৌথ খামার এলাকার অভিমুখে যাচ্ছিল। এসময় ভেদভেদীস্থ সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড এলাকার কিছু দুরে সড়কের পাশে ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে কাজ চলছিল। তাই সড়কের সামনে সিএনজিটি দাড়িয়েছিল। এতে চট্টগ্রামগামী খাজা গরীবে নেওয়াজ নামের(চট্টমেট্রো-জ-১১-০০১৮) একটি বেপরোয়ারা যাত্রীবাহী বাস দ্রুত গতিতে ডাক্কা দিলে সিএনজিটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই গুরিমিলে চাকমা ও পরি চাকমা প্রাণ হারান। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন গুরুত্বর আহত হন। তাদের স্থাণীয় লোকজন উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। আহতরা হলেন রিপন চাকমা(৩৭), পরি চাকমা(৫৪), রিকন চাকমা(২৮) ও চালক পিন্টু চাকমা।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রোববার সাপছড়িস্থ শালবাগান যৌথ খামার বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান রয়েছে। হতভাগা নিহত ও আহতরা কঠিন চীবর দান উপলক্ষে দাননীয়সহ অন্যান্য জিনিসপত্র রাঙ্গাপানির লুম্বনী বন বিহার থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে তারা এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। বাস চালকের বেপরোয়ারা গতির কারণে নিভে গেল দুটি তাজা দুটি প্রাণ ও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আহত চার জন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: শওকত আকবর জানান, আহতদের হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসরা তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। চারজন গুরুতর আহত রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে একজনের পা সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি দূর্ঘটনা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.