পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মা ও শিশুদের পুষ্টির প্রতিশ্রুতি উন্নয়নে পুষ্টির সুশাসন, আচরণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করা এবং মূল্য চেইনের জন্য শক্তিশালী জোট গঠন জরুরী। পুষ্টির পরিসেবার মানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং জবাবদিহিতা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য সচেতনতার পাশাপাশি তাদের পুষ্টিহীনতার দূর করতে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে। মঙ্গলবার(০২ আগস্ট)খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত পুষ্টির প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব মন্তব্য করা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি এবং লিডারশীপ টু এনসিওর এডকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) এর উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. মো: ছাবের।
গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লীনের প্রকল্প পরিচালক জান্নাত নূর। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের উপ-পরিচালক ডা. মো. আকতার ইমাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, জেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সিনিয়র সাংবাদিক আবু দাউদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক ড. মো: সফি উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মইন উদ্দিন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মো: শাহজাহান, দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার ইভেন্ট ম্যানেজার মো: শাহেদ, লীনের টেকনিক্যাল কো অর্ডিনেটর ওবায়দুর রশিদসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। লীনের জেলা টেকনিক্যাল সমন্বয়কারি হেপি দেওয়ানসহ লীনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস পুষ্টির সংবেদনশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বরোপ করেন। তিনি পাহাড়ের প্রান্তিক মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য জোগাড় করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিশ্চয়ই লীনের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তবে, কাগজেকলমে নয়; বাস্তবে পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করতে হবে। তিনি এই তৎপরতায় আরো গতিশীলতা আনয়ন করে মনিটরিং ব্যবস্থা আরো কার্যকর করার জন্য লীনের প্রতি আহবান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করছে লিডারশীপ টু এনসিওর এডকুয়েট নিউট্রিশন (লীন)। মূলত: প্রান্তিক ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠির শিশু, কিশোর, গর্ভবতী, ও দুগ্ধদানকারী মা দের পুষ্টিহীনতা দূর করতে ২০১৮ সাল থেকে এই বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৮ উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়নে কাজটি চলছে। চলবে আগামী বছরের আগষ্ট পর্যন্ত। খাগড়াছড়ির ৫ উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নের ৭৫ হাজার মানুষ পুষ্টি কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে।
---হিলবিডি২৪/সম্পদনা/এ,ই