রাঙামাটিতে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় দুই আসামিকে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার দুপুরে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক এ.ই.এম. ইসমাইল হোসেন এই রায় প্রদান করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (৪) (খ) ধারার অপরাধে মামলার প্রথম আসামি মো. সাখাওয়াত হোসেনকে (২৮) আট বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। অপরদিকে মামলার দ্বিতীয় আসামি মো. শাহজাহান উদ্দীন প্রকাশ শাহীন আলমকে (২২) ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সাখাওয়াত হোসেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১২ নম্বর পূর্বকোদালা ইউনিয়নের সিংহঘোনা গ্রামের মো. আকবর হোসেনের ছেলে এবং শাহীন আলম একই এলাকার মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। এরমধ্যে সাখাওয়াত পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ভিকটিম কলেজছাত্রী রাজস্থলী থেকে অটোরিকশা যোগে কাপ্তাই বরইছড়ি যেতে গাড়িতে উঠেন। বাঙ্গালহালিয়া বাজার থেকে আসামি সাখাওয়াত কলেজছাত্রীকে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট নিয়ে আসার কথা বলে গাড়ি উঠানোর পর ধর্ষণ চেষ্টা করেন। এসময় আরেক আসামি শাহীন আলম সিএনজি অটোরিকশা চালকের আসনে বসে গাড়ি চালান এবং পুরো ঘটনায় সহায়তা করে। একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দেন। এতে তিনি মাথা, কাঁধে ও হাঁটুতে আঘাত পান। ওইদিনই ভিকটিমের পিতা চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা করলে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, মামলার রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রাঙামাটির বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম অভি। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দুই আসামির একজনকে ৮ বছর এবং আরেকজন ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একইসঙ্গে যথাক্রমে ১ লাখ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে এক বছর ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.