গেল কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে রাঙামাটির জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার ২২টি এলাকার নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুু শতাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ও পাঁচ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে, অভিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে কাচালং নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, গেল কয়েক দিনে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের সীমান্তের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ি উপজেলার ২২টি এলাকার নি¤œাাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুু শতাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ও পাঁচ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এলাকাগুলো বাঘাইছড়ি পৌরসভার ১ নং ওর্য়াড, ২ নং ওর্য়াড, ৩ নং ওর্য়াড, ৪ নং ওয়াড, ৬ নং ওর্য়াড, ৭ নং ওর্য়াড, মারিশ্যা ইউনিয়ন তুলাবান, আমতলী ইউনিয়ন,সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট বাজারের আশপাশের এলাকাসহ ইত্যাদি। উপজেলার ১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। পালিত গবাদি পশু পার্শ্ববর্তী উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টিপাতর কারণে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে কয়েকটি স্থানে মাটি ধসে পড়েছে। আশ্রয় নেওয়া ১০০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট বিতরণ করেছেন ২৭ বিজিবি মারিশ্যা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আনোয়ার হোসেন। এছাড়া বাঘাইছড়ি পৌর সভার নব নির্বাচিত পৌর মেয়র জমির হোসেন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে উদ্ধার তৎপরতার জন্য নৌকা ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়েছেন। আশ্রয় কেন্দ্র থাকা লোকজনদের নবনির্বাচিত মেয়র খিচুড়ি খাবার পরিবেশন করছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের জন্য নগদ এক ল টাকা ও ৫ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। দুর্গতরা আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.