স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালের দিকে ধর্মসুখ বৌদ্ধ বিহারে ছোয়াইং (খাবার) দিতে যান গ্রামের একজন মহিলা। এতে বিহারের ভেতরে ঢুকে দেখতে পান বৌদ্ধ ভিক্ষুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এতে বিষয়টি সাথে সাথে তিনি গ্রামবাসী জানানোর পর পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বৌদ্ধ ভিক্ষুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দায়ীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী ধর্মীয় গুরুকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
১ নং খাগড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জ্ঞান দত্ত ত্রিপুরা জানান, ‘দুর্বৃত্তরা বিহারে ডাকাতি করতে এসে ধর্মীয় গুরুকে খুন করে থাকতে পারে। বিহারে একাই ছিলেন তিনি।’ বৌদ্ধ ভিক্ষুর ছোট ভাই ক্যউচিং মারমা জানিয়েছেন, বিহার অধ্যক্ষের হাতে তেমন নগদ টাকা ছিলনা। দুইটি মোবাইল খোয়া গেছে। তিনি আরো জানান বিশুদ্ধা মহাথের উপাসক-উপাসিকাদের কাছ থেকে দান পাওয়া টাকা গুলো গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করতেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রশীদ জানান, গেল রোববার মধ্যরাতে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুকে কুপিয়ে ও মাথায় আঘাত করে খুন করেছে। তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, নিহত বিশুদ্ধা মহাথের ১৯৯১ সাল থেকে ধর্ম প্রচার ও মানবসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। প্রয়াত চন্দ্রমনি মহাস্থবিরের অন্যতম শিষ্য ছিলেন নিহত এই ধর্মীয় গুরু।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.