রোববার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা পরিষদের সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য দিপ্তীময় তালুকদার, সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য নিউচিং মারমা, সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, নার্সিং ইনস্ট্রাকটর ইনচার্জ কৃঞ্চা চাকমা, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী পুর্নেন্দু চাকমা, স্বাস্থ্য প্রকৌশলের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ অলিউর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা এবং হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা রাঙামাটি জেলার করোনা পরিস্থিতির উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপনকালে বলেন রাঙামাটিতে সংক্রমণের হার যথেষ্ট বেশি। বিভিন্ন উপজেলায় সংক্রমণের হার কম হলেও রাঙামাটি সদরে বেশি। শীতকালে পর্যটন মৌসুম হওয়ায় পর্যটকদের আসা-যাওয়া, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ অনীহা প্রভৃতি কারণে সংক্রমণের হার বেশি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। সেক্ষেত্রে তিনি সবাইকে টিকা গ্রহণ এবং ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকার জুরাছড়ি এবং বিলাইছড়ি উপজেলায় দুটি কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবিষয়ে জায়গা নির্বাচন এবং অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদনের জন্য তিনি পরিষদের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া সরকার জুরাছড়ির মৈদুং এ একটি আবাসিক হোস্টেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলার শিক্ষা পরিস্থিতির ওপর বক্তব্য উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাওয়ার কারণে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় যথেষ্ট নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সরকার অনলাইনে কাশ নেওয়ার কথা বললেও এ জেলার বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে অনলাইনে কাশের সবচাইতে বড় অসুবিধা হচ্ছে ডাটা ক্রয়, সকলের হাতে স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা এবং নেটওয়ার্ক দুর্বলতা। এসকল সমস্যা সমাধান করা না গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মত পশ্চাৎপদ এলাকার শিক্ষার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, রাঙামাটিতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাবধান হতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে মাসিক সভাটি ছোট পরিসরে করা হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সকল সেক্টরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও শিক্ষা ক্ষেত্রের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। একারণে করোনা পরিস্থিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালানোর সম্ভাব্য সকল উপায় খুঁজে বের করার জন্য তিনি শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান রাখেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.