রাঙামাটিতে তিন দিন ব্যাপী বেকরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশার উদ্যোগে ‘উন্নত টেকসই স্যানিটেশন প্রযুক্তি ও ব্যবসা সম্প্রসারণ’ বিষয়ক তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা বৃহস্পতিবার সমাপ্ত হয়েছে।
শহরের একটি হোটেলের হল রুমে আয়োজিত কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের রাঙামাটি প্রতিনিধি এ কে এম মাকসুদ আহমদ। আশা-চট্টগ্রাম (বহদ্দারহাট) জেলার ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ তফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাব এসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সজল কান্তি চক্রবর্তী ও দৈনিক প্রথম আলোর রাঙামাটি অফিসের ষ্টাফ রিপোর্টার হরি কিশোর চাকমা। কর্মাশালায় ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগন ছাড়াও রিজিওনাল ম্যানেজারগন এবং স্যানিটেশন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার ২৫ জন স্যানিটেশন উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ী অংশ গ্রহন করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে বুধবার স্থানীয় স্যানিটেশন উদ্যোক্তা মোঃ নাসিরের মেসার্স মদিনা সেনিটারী এর কারখানায় বিভিন্ন উন্নত স্যানিটেশন প্রযুক্তি হাতে-কলমে শিখার জন্য ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এছাড়া ‘উন্নত টেকসই স্যানিটেশন প্রযুক্তি ও ব্যবসা সম্প্রসারণ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ৬ এপ্রিল আশার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম জেলার আয়োজনে জেলার সকল ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদের অংশগ্রহনে এক দিনের স্যানিটেশন বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আশা আশা চট্টগ্রাম জোনের জোনাল ম্যানেজার জনাব মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, কোন প্রকার দাতা সংস্থার অর্থ সহযোগিতা ছাড়াই আশার নিজস্ব তহবিলে এ কর্মসুচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উন্নত প্রযুক্তির ল্যাট্রিন উদ্ভাবন ও স্থাপনে স্যানিটেশন উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ী এবং আশার মাঠ কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষন প্রদান করা, স্যানিটেশন বাজার সম্প্রসারনের জন্য স্যানিটেশন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদেরকে এবং স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ক্রয় ও স্থাপনে দরিদ্র মানুষকে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋন প্রদান করা, পানি সরবরাহে সমস্যা রয়েছে এমন অঞ্চলে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও সহায়তা করা ইত্যাদি কার্যক্রমের উদ্দেশ্য। স্যানিটেশন ব্যবসাকে সামাজিক ব্যবসায় রূপান্তর করা এ কার্যক্রমের অন্যতম লক্ষ্য। আশা ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন কার্যক্রমের আওতায় ২৪টি জেলায় মোট ৭২০ জন স্যানিটেশন উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ীকে প্রশিক্ষন দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে ১৯ টি জেলায় ৬শ জন স্যানিটেশন উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ীকে প্রশিক্ষন করানো হয়েছে। প্রশিক্ষন প্রাপ্ত উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ীরা সমাজের দরিদ্র পরিবারের নিকট অল্প মূল্যে উন্নত প্রযুক্তির ল্যাট্রিন বিক্রি/স্থাপন করার মাধ্যমে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ শুরু করেছে। তাছাড়া ইতোমধ্যে স্বল্প সার্ভিসচার্জে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা স্যানিটেশন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
আশা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম জেলার জেলা ব্যবস্থাপক মোঃ তফাজ্জল হোসেন বলেন,জেলায় ৯৯টি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে স্যানিটেশন কার্যক্রম ছাড়াও ঋন কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, সেবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন এবং দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুয়ের স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপনে সহায়তা ও দুষিত পানি ব্যবহারকারী মানুষকে নিরাপদ পানি প্রাপ্তিতে সহায়তা করার লক্ষ্যে আশা ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন কার্যক্রম গ্রহন করেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.