বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্দিষ্টকরণে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক ও সাংঘাতিক’ চিহ্নিত করতে জেলা ভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। অপসাংবাদিকদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকগণ বিব্রত হন। তারা বিভিন্ন সময় ভিত্তিহীন ও ভুয়া নিউজের কারণে রাষ্ট্র ও সরকারকে বিভ্রান্ত করে। তাই ভুয়া ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
রোববার রাঙামাটি সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,সাংবাদিকতা স্বাধীন পেশা। সাংবাদিকতায় যতই স্বাধীনতা থাকুক না কেন আর্থিক সুরক্ষা না থাকলে কলম চলে না। অথচ অলিখিতভাবে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে চলেছে সাংবাদিকগণ। করোনার কারণে অনেক সাংবাদিক মারা গেছেন। করোনাকালে সরকার জেলা ভিত্তিক সাংবাদিকদের প্রণোদনাও প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য ট্রাস্ট করেছেন এবং ফান্ড দিয়েছেন।
মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ শাহ আলম। এসময় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের পক্ষে সহকারী কমিশনার মোঃ বোরহান উদ্দিন মিঠু ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে রাঙামাটি প্রেসক্লাবকে বই বিতরণ করেন প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মেদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সভাপতি সুনীল কান্তি দে, প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল-হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী, হিমেল চাকমা, জিয়াউল হক প্রমুখ।
--হিলবিডি২৪/সম্পানা/সিআর.