খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অধীনে আলোচিত ২৯৪ জন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে খোদ আওয়ামীলীগেই। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী মানিকছড়িতে ক্ষোভের আগুনে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন মূল দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার রাতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ নিয়োগ নিয়ে বিরুপ সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেন।
শনিবার সকালে নিয়োগে ঘুষবাণিজ্য এবং টাকার বিনিময়ে মেধাবীদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীদের চাকরি দেয়ার অভিযোগে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন মানিকছড়ি উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
এরপর বিকেল চারটায় মানিকছড়ি উপজেলার কয়েক’শ নেতাকর্মী খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে জনাকীর্ন এক সংবাদ সম্মেলনে ঘুষ বাণিজ্যের জন্য জেলা পরিষদ সদস্য এম. এ. জব্বার এবং রেম্রাচাই চৌধুরীর অপসারণ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারন সম্পাদক মাঈন উদ্দিন, তিনট্যহরী ও বাটনাতলী ইউপি চেয়ারম্যানসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে আগামী সোমবার মানিকছড়ি উপজেলায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি পালিত হবে।
এ সময় ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আওয়ামীলীগ নেতা চিংসামং চৌধুরীর স্ত্রী থুম্রাউ মারমা অভিযোগ করেন, তিন মাসের অন্তস্বত্তা অবস্থায় স্বামী মারা গেলে জনপ্রতিনিধিরা চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। এবারের লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার পরও শুধুমাত্র টাকা না দেয়ায় তাঁকে অমানবিকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য এম. এ. জব্বার এবং রেম্রাই চৌধুরী জানান তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে নিহত চিংসা মং চৌধুরী স্ত্রী থুইম্রাই মারমাকে দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন রেম্রাচাই চৌধুরী।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.