রোববার রাঙামাটিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি পার্বত্য জেলা শাখার উদ্যোগে গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হল সদ্য জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের প্রথম যোগদান থেকে চাকুরী পূর্নকাল গণনা করা, তৃতীয় থেকে বাদ পড়া বিদ্যালয় সমুহের তালিকা করে গেজেট প্রকাশ, প্রথম ধাপে জাতীয়করণকৃত অনেক বিদ্যালয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক থাকা সত্বেও সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেট ভূক্ত শিক্ষকদের পদবী সংশোধন করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুনঃ গেজেট প্রকাশ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরনের লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষকদের টাইম স্কেলের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্ষন্ত বর্ধিত করে প্রজ্ঞাপণ জারি এবং সদস্য জাতীয়করনকৃত শিক্ষকদের সংযুক্তি নামে ডেপুটেশন বাতিল করা।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় মূঠোয়োনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহি উদ্দীন খাঁন আলমগীর এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মনছুর আলী।
প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি পার্বত্যাঞ্চল শাখার আহ্বায়ক স্বর্ন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন,কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ন মহা সচিব এসএম মো. খালেদ,কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতির সহ-মহিলা সম্পাদীকা শাহানাজ পারভীন ও মঞ্জুরা বেগম। তিন পার্বত্য জেলা হতে শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন,খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি চন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা,বান্দরবান জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি বাদল চন্দ্র ও রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ আবদুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্যে দেন প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি পার্বত্যাঞ্চল শাখার সদস্য সচিব প্রভাত কুসুম চাকমা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথির সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা থেকে কয়েক’শ শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বলাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহি উদ্দীন খাঁন আলমগীর এমপি মুঠো ফোনে তার বক্তব্যে বলেন,পার্বত্য এলাকার শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে। এই এলাকার শিশুদের একটু ভিন্ন ভাবে দেখতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষাকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা স্বপ্ন দেখলে হবে না শিশুদেরকে স্বপ্ন দেখাতে হবে। পার্বত্য এলাকার বেসরকারি বিদ্যালয় গুলোকে সরকার ৩ ধাপে সরকারি করেছেন। বাকি ৩৪টি বিদ্যালয়কেও ধাপে ধাপে জাতীয় করন করার জন্য সরকারকে দাবি আকারে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকার ইতি মধ্যে টিচার্স হাসপাতাল তৈরী করেছেন এই হাসপাতালে সকল সরকারি শিক্ষকদের শেয়ার হোল্ডার ক্রয়ের পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় মহা সচিব মনছুর আলী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অবহেলিত নিপিড়িত দীর্ঘ ২২/২৩ বছর ধরে যারা মাথার ঘাম পায়ে পড়ে তৃণ্যমূল পর্যায়ে খেয়ে ন অনাহারে অর্ধাহারে ধর্য্য ধরে অজয় গায়ের শিশুদের পড়া লেখা শিখিয়ে আজ বিদ্যালয় গুলো সরকারি হয়েছে এটা আপনাদের কষ্টের ফসল। আর এই জাতীয় করনের পিছে সরকারের প্রসংশনীয় ভূমিকা ছিল। প্রচেষ্টা ছিল শিক্ষক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দের। বিগত সরকার এক সাথে এত গুলো স্কুল সরকারি করা তো দূরের কথা প্রস্তাব ও করেনি। তাই বলতে চাই শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার।
তিনি আরো বলেন,পার্বত্য এলাকাসহ সারা দেশের শিক্ষকদের বাকি সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.