বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের চিনতাবা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ১৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সর্বমোট দুই জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে দুইজনেই ফেল করেছে। উক্ত বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন।
জানা যায়, লামা উপজেলা সদর থেকে ৩২ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে গজালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে চিনতাবা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। চিনতাবা, তলই, তুলাতলী মুরুং এবং চাইলতা ত্রিপুরা পাড়ার পাহাড়ী সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে।
ম্রো পাড়াবাসী ইয়াং ম্রো জানান, প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা ৩২ কি.মি দূরে লামায় অবস্থান করেন। নিয়মিত শ্রেণী শিক্ষা পাঠদান কার্যক্রম না হওয়ার বাস্তব চিত্রই ফুটে উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে। এ বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কোন দিন এসেছেন কিনা তা গ্রামবাসীর জানা নেই।
প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন কুতুবি জানান,বিদ্যালয়ে ১৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। গত নভেম্বর-এ অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রে পং মুরুং এবং মেনলিউ মুরুং বিদ্যালয় থেকে পিএসসির সর্বসাকুল্যে পরীক্ষার্থী ছিল। উভয়ই পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। বিদ্যালয়টি নতুন জাতীয়করণকৃত।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আক্তার উদ্দিন বলেন,পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী পাশ না করার কারণে শিক্ষকদের জানুয়ারী মাসের বেতন ভাতা স্থগিত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল বলেন, এ জাতীয় দায়িত্বহীন শিক্ষকদের ব্যাপারে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, জেলার বৃহত্তম এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার ব্যপারে প্রশাসনসহ সকলকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.