রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো: সামসুল আরেফিন বলেছেন, প্রাথমিক স্তরের শুরুতে মাতৃভাষায় পড়ালেখা শুরু করলে শিশুরা পাঠের সবকিছু বুঝতে পারে ও মনোযোগী হবে। যা পরবর্তী স্তরে শিক্ষা অর্জনেও গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার রাঙামাটিতে শিশুর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নিয়ে অায়োজিত বার্ষিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: সামসুল আরেফিন এ কথা বলেন।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের হল রুমে সেভ দ্য সিলড্রেন-এর শিশুর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে মতবিনিময় সভার উদ্ধোধন করেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা।
আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা ।
সভায় রাঙামাটি সদর ও কাউখালী উপজেলা থেকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, ১০টি শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং সংবাদকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়া সভায় প্রকল্পের গত এক বছরের কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ, অভিজ্ঞতা সমূহের পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় প্রকল্প কার্যত্রুম অভিজ্ঞতা ও কেন মাতৃভাষায় শিশুর শিক্ষা প্রয়োজন তার উপরে উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রকল্প সমন্বয়কারী সুখেশ্বর চাকমা ও কক্সি তালুকদার ।
এসব উপস্থপনায় বলা হয়, সেভ দ্য চিলড্রেন আর্থিক ও কারিগরী সহযোগীতায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র রাঙামাটি সদর উপজেলা ও কাউখালী উপজেলা ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করে।২০১৫ সাল থেকে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চাকমা ভাষায় ৫টি এবং কাউখালী উপজেলা মারমা ভাষা ৫টি মোট ১০টি মাতৃভাষা ভিত্তি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র চালু করে।
পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী সরকারী বিদ্যালয়ের ১ম ও ২য় শ্রেণীর আদিবাসী শিক্ষাথীদের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে রাঙামাটি সদর উপজেলায় ৩টি পাঠদান কেন্দ্র এবং কাউখালী উপজেলায় ৭টি পাঠদান মোট ১০টি পাঠদান কেন্দ্র চালু করে।
উদ্ধোধনী বক্তব্যে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা বলেন বৃহত্তর পরিসরে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা প্রয়োজন। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষাদানের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
বিশেষ অতিথি বক্ত্যব্যে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা বলেন, শিশুরা নিজের ভাষায় যতটুকু সহজে বুঝতে পারবে অন্যভাষায় সহজে বুঝবে না যার ফলে বিদ্যালয়ের প্রতি অনিহা এবং ভীতি জন্মায়। যার কারনে বিদ্যালয়ে আদিবাসী শিশুরা ঝড়ে পড়ে সম্ভাবনা থাকে।
তিনি আরও বলেন প্রকল্প শেষ হলেও মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের বিষয়টি কিভাবে ধারাবাহিকতা রাখা যায় তা চিন্তা সবাইকে চিন্তা করতে হবে ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.