মঙ্গলবার রাঙামাটিতে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এন্ড কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট (এলসিবিসিই) প্রকল্পের সমন্বয় সভার অায়োজন করা হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফ কর্তৃক গৃহীত লোকাল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এন্ড কমিউনিটি এম-পাওয়ারমেন্ট (এলসিবিসিই) কর্মসূচির আওতায় এলসিবিসিই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগের স্থানীয় সরকারের পরিচালক ও ডিভিশনাল কনভার্জেন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য সচিব দীপক চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডাঃ আলাউদ্দিন মজুমদার, চট্টগ্রাম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আলম,অতিরিক্ত জেলা প্রসাক(সার্বিক) মোঃ মোস্তফা জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প (আইসিডিপি)’র প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইয়াছিন উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন (আইসিডিপি)’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ জানে-ই-আলম।
সভায় ইউনিসেফ-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মংইয়াই আইসিডিপি প্রকল্পের পাড়া কেন্দ্রের মাধ্যমে যে প্রাক্ প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য কার্যক্রম প্রদান করা হচ্ছে সে সম্পর্কে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। পরে এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যান্ত অঞ্চলে পাড়া, ইউনিয়ন কমিটি গঠনের মাধ্যমে (এলসিবিসিই) কার্যক্রম সম্পর্কে কিভাবে অবহিত করা যায় সে সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়।
সভায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সমাজসেবা, শিশু একাডেমী, প্রশাসন, যুব উন্নয়ন, পরিবার পরিকল্পনাসহ সরকারী বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মতামত প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিসেফ কর্তৃক আইসিডিপি তিন পার্বত্য জেলায় প্রত্যান্ত এলাকায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রসারে যে পাড়া কেন্দ্রগুলো স্থাপন করেছে তা সত্যিই প্রসংশার দাবিদার। এ পাড়াকেন্দ্রের ফলে প্রত্যান্ত এলাকার পিছিয়ে পরা শিশুরা শিক্ষার দিক দিয়ে অনেকটা এগিয়ে এসেছে। এটির আগের তুলনায় বর্তমানে ফলে পার্বত্য এলাকায় শিক্ষিতের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে অবকাঠামো দিয়ে পাড়া কেন্দ্রগুলো নির্মাণ হচ্ছে সেগুলো আরো উন্নত করা গেলে শিক্ষার পরিবেশের পাশাপাশি শিক্ষা উপকরণ, জরুরী ডকুমেন্টারী রাখা নিরাপদ হবে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তিনি ইউনিসেফের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি পার্বত্য অঞ্চলে আইসিডিপির মতো এলসিবিসিই প্রকল্পও এখানকার জনগোষ্ঠির কল্যাণ ও ভাগ্যউন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় সরকারের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী বলেন, এলসিবিসিই হল কমিউনিটি ক্ষমতায়নকে তুরান্বিত করার একটি বিকেন্দ্রীভূত পদ্ধতি বা কৌশল। ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ সরকারের জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা কাঠামো, ২০১২-২০১৬এর আওতায় সহ¯্রাদ্ধ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে পিছিয়ে পড়া ২০টি জেলাকে চিহ্নিত করেছে এই কর্মসূচি (এলসিবিসিই) বাস্তবায়নের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ সরকার একটি যৌথ অংশীদারিত্ব কৌশলপত্র স্বাক্ষর করেছে। চিহ্নিত জেলাসমূহের মধ্যে প্রতিটি জেলা হতে দুইটি করে উপজেলা এবং প্রতিটি উপজেলার সকল ইউনিয়নে এই কর্মসূচির আওতাভূক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুবিধা বঞ্চিত মা ও শিশুদের গৃহিত বিভিন্ন বিভাগের কর্মসূচি বা কার্যাবলির মধ্যে একটি সুসমত্বিত সম্পর্কের মাধ্যমে একটি সম্মিলিত শক্তি তৈরী করাই এলসিবিসিই এর উদ্দেশ্য। সকলের সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে আইসিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা গেলে পার্বত্য এলাকার সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠিরা উপকৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.