রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক খুব শিগগিরই পার্বত্যাঞ্চলের নৃ-গোষ্ঠি শিশুদের সম্প্রদায়ভিত্তিক নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক বলেই মন্ত্রনালয় থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।
শনিবার রাঙামাটিতে কাউখালীর বাকছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধার মাধ্যমে প্রান্তিক শিশুদের সহায়তাকরণ বিষয়ক আয়োজিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে সভার সভাপতিত্ব করেন আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মফিজুল ইসলাম, কাউখালী উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃপা চাকমা, সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশুর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মেহেরুন্নাহার স্বপ্না, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিনাকী চাকমা, বাকছড়ি প্রাথমকি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শান্তি কুমার চাকমা। স্বাগত বক্তব্য দেন আশিকার প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কক্সী তালুকদার। এসময় কাউখালী উপজেলার কাব্বারী, মহিলা মেম্বার, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান আরও বলেন,পার্বত্যাঞ্চলের প্রত্যান্ত এলাকায় বসবাসকারী প্রান্তিক শিশুদের শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত ও শিক্ষার মানউন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিও ও দাতা সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে দিন দিন পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ উন্নয়নে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই এবং প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া কখনও সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে উঠতে পারে না। একমাত্র শিক্ষিত জাতিই পারে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে।
তিনি বলেন, স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা এ এলাকার পিছিয়ে পরা শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার জন্য যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তিনি আরও বলেন, এ জেলার প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে সব বৈরীতা দূর হবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রকৃত শিক্ষা থেকে যেন কেউ বাদ না যায় সেজন্য সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্ত্যবে আশিকার নির্বাহী পরিচালক বলেন,কাউখালী উপজেলার বাকছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে তা কোন ঠিকাদারকে দিয়ে করা হবে না। স্বচ্ছ ও মজবুতভাবে নির্মাণের লক্ষ্যে আশিকা এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিনিধি সার্বক্ষনিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এ বিষয়ে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.