রাঙামাটির ঐতিহ্যবাহী শাহ্ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, শিক্ষিকাদের সাথে নোংরা ও অশ্লীলপূর্ন কথাবার্তাসহ শিক্ষকের সাথে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ এনে তার অপসারনের দাবীতে বুধবার মানববন্ধন করেছে শিক্ষককরা।
শাহ্ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধন করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকরদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করে মানবন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে এসময় আন্দোলনরত শিক্ষকদের মধ্যে মোহাম্মদ ইসহাক, শামীম আরা বেগম, মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী, ঝর্না আক্তার,তোফায়েল আহম্মেদ, নরিন জান্নাত, উৎপল চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, মোঃ মুজিবুর রহমান গত বছর জুন মাসে শাহ্ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি, শিক্ষিকাদের সাথে নোংরা ও অশ্লীলপূর্ন কথাবার্তাসহ শিক্ষকের কুরুচিপূর্ন আচরণ, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বার্ষিক ফি জনপ্রতি ৫শ টাকা ও মাসিক বেতন ৭০ থেকে ৯০ টাকা বৃদ্ধি করে বাড়তি ফির আদায় করছেন। ফলে প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন অপকর্মের ফলে বিদ্যালয়টি ধ্বংসের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।
আন্দোলনরত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অভিযোগ কওে বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি ফ্যাসিলিটি বিভাগ কর্তৃক দুদফায় ভবন নির্মাণ এবং ভবনের বাকী অংশ বিভাগই নির্মাণ করার কথা। কিন্তু বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ প্রায়ই শেষের দিকে প্রধান শিক্ষক নিজে আহবায়ক হয়ে বিদ্যালয়ের ভবনের উপরে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় দেখিয়ে একটি কক্ষ তৈরি করেন। সরকারী বিধিমালায় প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার অর্থ উপ কমিটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কথা রয়েছে। কিন্তু তিনি কোন অর্থ উপ কমিটি গঠন না করেননি। শিক্ষক কর্মচারীদের ভবিষ্যত তহবিলের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার বিধান থাকলেও তা লঙ্ঘন করে স্থগিত রাখাসহ সীমাহীন দুর্নীতি করে চলেছেন। তাই এ নারী নির্যাতনকারী, দুনীর্তিবাজ, আইন অমান্যকারী প্রধান শিক্ষককে অপসারণ পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে, ঐতিহ্যবাহী শাহ্ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়কে পুনরায় লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবী করে বলেন, গত ৬ জানুয়ারী থেকে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর ওই শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অভিযোগ এনে তাকে অপসারনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন,ওই শিক্ষকরা বিদ্যালয়টি দুর্নীতি আখড়া বানিয়ে বিদ্যালয় পরিবেশকে নষ্ট করছে। মানববন্ধনে ছাত্রদের জোড় করে ধরে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রমানের দাবি জানান তিনি।
--‡হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.